• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

পি কে হালদারসহ ছয়জনকে বাংলাদেশে হস্তান্তরের অনুরোধ এনসিবি’র

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৩, ১৬ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
পি কে হালদারসহ ছয়জনকে বাংলাদেশে হস্তান্তরের অনুরোধ এনসিবি’র

ভারতে গ্রেফতার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদারসহ ছয়জনকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করার অনুরোধ করেছে ইন্টারপোল ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) অব বাংলাদেশ। ইন্টারপোল এনসিবি অব ইন্ডিয়ার কাছে পাঠানো এক ইমেইলের মাধ্যমে এনসিবি অব বাংলাদেশ এ অনুরোধ জানায়। সোমবার (১৬ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দুদক সচিব বলেন, ‘যেহেতু পি কে হালদারের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং দুদকের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তাই তাকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতের ইন্টারপোল এনসিবিকে ইমেইল পাঠিয়েছে বাংলাদেশের ইন্টারপোল এনসিবি।’ ভারতে গ্রেফতার পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বাংলাদেশ আনতে দুদকও উদ্যোগ নেবে বলেও জানান দুদকের এই কর্মকর্তা। ‘তাদের হস্তান্তরের বিষয়ে দুদক ভারতের বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করবে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দেবে’, যোগ করেন তিনি।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তদন্ত চলাকালে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যায়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের কাছে সহায়তা চায় দুদক। এরপর পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিতে আদালতে পিটিশন করা হয়। পরবর্তীতে আদালত তাকে গ্রেফতারে পরোয়ানা দেন।

হাতের ছাপ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ২০২১ সালে ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়। পরে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইন্টারপোল রেড নোটিশ দেয়। দুদক সচিব মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘পি কে হালদারের অবস্থান জানতে ইন্টারপোলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে দুদক।’

২০০৮ সাল পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইআইডিএফসিতে উপব্যবস্থাপনা (ডিএমডি) পরিচালক ছিলেন পি কে হালদার। ১০ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিয়েই ২০০৯ সালে তিনি রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি হয়ে যান। এরপর ২০১৫ সালের জুলাইয়ে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের এমডি পদে যোগ দেন।

জানা গেছে,  পি কে হালদার ও তার ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার মিলে ভারতে হাল ট্রিপ টেকনোলজি নামে কোম্পানি খোলেন ২০১৮ সালে। কলকাতার মহাজাতি সদনে তাদের কার্যালয়। আর কানাডায় পিঅ্যান্ডএল হাল হোল্ডিং ইনক নামে কোম্পানি খোলা হয় ২০১৪ সালে, যার পরিচালক পি কে হালদার, প্রিতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কানাডার টরন্টোর ডিনক্রেস্ট সড়কের ১৬ নম্বর বাসাটি তাদের।

পিকে হালদারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ পর্যন্ত ৩৪টি মামলা হয়েছে। তার সহযোগীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে দুদক। এদের মধ্যে ১০ জন ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: