• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রশ্নফাঁসের মূল হোতার শত কোটি টাকার সম্পদ

প্রকাশিত: ১৭:০০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
প্রশ্নফাঁসের মূল হোতার শত কোটি টাকার সম্পদ

চারপাশে টিনশেড, একতলা ও দোতলা বাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা সুউচ্চ ভবনটি সহজেই নজর কাড়বে যেকারোর। এই বাড়িটির মালিক জসিম উদ্দিন ভূইয়া মুন্নু। মিরপুর শাহ আলী থানাধীন গুদারাঘাট বটতলা এলাকায় নজরকাড়া এই আটতলা বাড়িটির মালিক বর্তমানে জেলে।

অভিযোগ রয়েছে- মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির প্রশ্ন ফাঁসের টাকায় এই বাড়ি গড়েছেন জসিম। শুধু এ বাড়িটিই নয়, পাশের তিনতলা বাড়িটিও তার। এছাড়া স্ত্রী ও স্বজনদের নামে জসিমের বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি। 

স্থানীয়রা বলছেন, নব্বইয়ের দশকে গুদারাঘাট এলাকার একটি টিনশেড বাড়িতে ভাড়ায় ওঠেন জসিম। সে সময় তিনি কাজ করতেন একটি বীমা প্রতিষ্ঠানে। সংসার চালাতেও বেশ হিমশিম খেতেন। ২০০০ সালের পর ধীরে ধীরে আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়ে ওঠেন জসিম। সেসময় তার কাছে বিভিন্ন পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া শুরু হয়। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকানোর সময় হয়নি তার। অনেকটা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতো অবস্থা দাঁড়ায় তার।

২০০০ সালের পর কয়েক বছরের মাথায় গুদারাঘাট বটতলায় নজর কাড়া ওই ভবন বানাতে ৪ শতাংশ জমি কেনেন জসিম। বছর দুয়েক পর পাশের আরো ৪ শতক জমি কিনে নেন। কিছুদিন পর উল্টোদিকের আরো একটি প্লট বোনকে কিনে দেন জসিম। এ সময়ের মধ্যে তিনি বাড়ির কাজও শুরু করেন। বেশ দ্রুত আটতলা বাড়ির কাজ শেষ করেন তিনি। এরপর পাশের প্লটটিতে আরেকটি তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন। এরপর কাজ থেমে যায়। 

২০১১ সালে এ ভবনের নির্মাণকাজ চলাকালে জসিমকে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে র্যাব। এর কয়েকমাস পর তিনি ছাড়াও পান। কিন্তু থেমে নেই তার প্রশ্ন ফাঁসের কাজ। যেকারণে ২০১৫ সালে আবারও গ্রেফতার হন এবং কয়েকমাস পর আবারও জামিনে মুক্তি পান তিনি। তবুও থেমে নেই তার বাড়িতে আগের মতোই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। যার ফলে ২০২০ সালে সর্বশেষ সিআইডির জালে প্রশ্নফাঁসের মূল হোতা হিসেবে ধরা পড়ে জমিস। তারপর এখনও জেলে রয়েছেন তিনি। তবে আর এতোসব অনিয়মের বিষয়ে স্থানীয়রা তথ্য দিলেও জসিমের ভয়ে ক্যামেরার সামনে এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজী হননি কেউ। 

তারা বলছেন- জসিম আইনের ফাঁকফোকর গলে আবারও বেরিয়ে আসবেন। তাই জসিমদের এসব অনিয়মে যারা সুযোগ করে দিচ্ছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার দাবি স্থানীয়দের।

এই বিষয়ে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির বাংলাভিশন অনলাইনকে বলেন, এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলছে। তারা কে কত টাকা অবৈধ উপায়ে কামিয়েছে সেসব তথ্য অনুসন্ধান চলছে। আশা করছি চলতি বছরের মধ্যে চার্জশীট দেওয়া হবে।

তিনি জানান, প্রশ্নফাঁসের টাকায় গড়ে তোলা জসিমের অবৈধ সব সম্পত্তি আদালতের মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করার সব চেষ্টা  করবেন তারা।

বিভি/এসটি/এজেড

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: