এখনও অস্থির পেঁয়াজ-আলুর বাজার
ফাইল ছবি
কোনো কিছুতেই বাগে আসছে না পেঁয়াজ আর আলুর বাজার। সরকারের দাম নির্ধারণ ও ভোক্তা অধিকারের অভিযানেও কমছে না এ দুটো পণ্যের দাম। তবে ডিমের বাজার স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগিরও।
বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার যে আলু আর পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিয়েছিল, এরইমধ্যে তার ১৫ দিন পার হয়ে গেছে। আলুর সর্বনিম্ন দাম ধরা হয়েছিল ৩৬, পেঁয়াজের ৬৫ আর ডিমের দাম প্রতি পিস ১২ টাকা। কিন্তু শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখনও আলুর দাম বাজারভেদে ৫০ টাকা আর পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
তবে ধীরে ধীরে কিছুটা স্বস্তি আসতে শুরু করেছে ডিমের বাজারে। গেলো সপ্তাহে ১৫০ টাকা বিক্রি হলেও সপ্তাহান্তে ডজনে দাম কমেছে ৬ টাকা পর্যন্ত।
ব্রয়লার মুরগির দামেও কিছুটা স্বস্তি মিলবে ক্রেতাদের। কেজিতে দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়।
কাঁচাবাজারে নতুন করে দাম না বাড়লেও, ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো ধরনের সবজিই। যদিও কাঁচা মরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ায় দাম আরো বাড়তে পারে।
ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু আকাশচুম্বী দাম। মধ্যবিত্ত আর নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের যেনো চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই। অযথাই দাম বাড়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ক্রেতা সাধারণের। তবে বিভিন্ন জাতের জিওল মাছের দাম নতুন করে বাড়েনি।
চালের বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল। মিনিকেট মানভেদে ৬৫ থেকে ৭০, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৮০ আর মোটা জাতের চাল মিলছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: