রিজার্ভ নিয়ে শঙ্কার মেঘ কাটছে না, ঠেকানো যাচ্ছে না পতন (ভিডিও)
শঙ্কার মেঘ কাটছেই না বৈদেশির মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে। মুদ্রাভান্ডারে ধারাবাহিক পতনে চিন্তার ভাঁজ আরো স্পষ্ট হচ্ছে। ডলারের বিনিময় হার ঠিক করা, আমদানি কমানোসহ নানামুখী পদক্ষেপেও আশার আলো নেই রিজার্ভ ধরে রাখায়। এর মধ্যেই গত এক সপ্তাহে নতুন করে ১২ কোটি ডলার কমে আইএমএফের হিসেবে দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে। যেখানে কোভিড মহামারির মধ্যেও ২০২১ সালের অগাস্টে রিজার্ভ ছিলো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপর।
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কোন কৌশলেই ঠেকানো যাচ্ছে না মুদ্রা ভান্ডারের পতন। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কৃত্রিমভাবে ধরে রাখা আর হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার খেসারত হিসেবেই একে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। বলছেন, ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। বাড়াতে হবে বিদেশি বিনিয়োগ। আর এর জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
গেল দুই বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে প্রতিমাসে ১০০ কোটি ডলার বা ১ বিলিয়ন ডলার করে কমছে। রিজার্ভ এভাবে কমতে থাকলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে-এমন প্রশ্ন ছিলো অর্থনীতিবিদদের কাছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঙ্কটের মধ্যে বাণিজ্য নিষধাজ্ঞা আসলে সেটি হবে আরো বড় বিপদের কারণ। এজন্য এখনই সতর্ক হবার পরামর্শ তাদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মোট রিজার্ভ ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। গত ৩১ অক্টোবর যা ছিলো ২৬ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসেবে ২৯ দিনে কমেছে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: