বিদায়ী অর্থবছরে চার বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি কমেছে, দাবি ব্যবসায়ীদের

ছবি: সংগৃহীত
এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলনের জেরে বিদায়ী অর্থবছরে অন্তত চার বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি কমেছে বলে দাবি করেছে দেশের ব্যবসায়ীরা। বন্দরে দীর্ঘ জট ও কাস্টমস জটিলতায় শুধু জুন মাসেই রফতানি কমেছে ১০ শতাংশের বেশি। তা নাহলে রফতানির টার্গেট অর্জন কঠিন হতো না, এমন মত রফতানিকারক ও ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারদের।
সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে গেলো মে ও জুন মাস জুড়ে আন্দোলনে ছিলেন এনবিআর কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে সেই আন্দোলন রূপ নেয় পুরোদমে কর্মবিরতির মতো শাটডাউন কর্মসূচিতে।
এসময় হোঁচট খায় দেশের আমদানি-রফতানি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পোশাক খাত। অর্থবছরের বাকি ১১ মাস রফতানির ধারা ইতিবাচক থাকলেও জুনে প্রবৃদ্ধি কমে যায় সাড়ে ছয় শতাংশ। এজন্য তখনকার আন্দোলনকে দুষছেন রপ্তানিকারকরা।
সিংক- ফরহাদ,
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, গেলো অর্থবছরে মোট রফতানি ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালেও এক জুনেই সাড়ে সাত শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আন্দোলনের জেরে বন্দরে জট না লাগলে রফতানি ৫২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতো, এমন মত ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারদের।
অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, জুনে রপ্তানি কমার অন্যতম কারণ শুল্ক ও কর কর্মকর্তাদের আন্দোলন।
সরকারের হস্তক্ষেপে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কাজে ফিরলেও আমদানি রফতানির জট স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে আরও কিছুদিন।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: