বাংলাদেশে কোপেলের আঞ্চলিক প্রতিনিধি
মেক্সিকোতে এক বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যের সম্ভাবনা

বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়তে চায় মেক্সিকোর বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। গুণগতমানের পণ্য ও তুলনামূলক দাম কিছুটা কম হওয়ায় ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে আগ্রহী হচ্ছে। দেশটির সবচেয়ে বড় রিটেইলার প্রতিষ্ঠান কোপেলের প্রতিনিধি ঢাকা সফরকালে একাত্তরকে ব্যবসায়ীদের এই আগ্রহের কথা জানান। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও দেশটিতে বিপুল পণ্য রফতানির সম্ভাবনা দেখছেন।
ল্যাটিন আমেরিকায় জনপ্রিয় রিটেইলার প্রতিষ্ঠান কোপেল। মেক্সিকো ও আর্জেন্টিনায় প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে দুই হাজারেরও বেশি স্টোর। এক কথায় ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় বাজার রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটির। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব কিছু পণ্য থাকলেও তারা মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মেক্সিকো, আর্জেন্টিনাসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশের জন্য অন্য ক্রয় করে তা বিক্রি করে থাকে। যার মধ্যে তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিক পণ্য, ফার্নিচারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র রয়েছে।
কোপেলের প্রতনিধি মারিয়া এলেনা ক্যাস্টিলো এসেছেন ঢাকায়। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর আমন্ত্রণে দেশে এসে গ্রাহকদের জন্য খুঁজছেন উন্নত মানের সেরা পণ্য।
মারিয়া লিয়াঁজো অফিসার হিসেবে কোপেলে কাজ করছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক এবং প্রসাধনী অত্যন্ত গুণগতমানের। খুবই সাশ্রয়ী এবং দেশটি স্থিতিশীল। মেক্সিকোসহ ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে আমরা বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিয়ে যেতে চাই। আমরা বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান ঘুরেছি। আজ আমরা সাভারে অবস্থিত আল মুসলিম গ্রুপের পণ্য তৈরির প্রক্রিয়া, গুণগত মান ও অন্যান্য বিষয় দেখেছি। শুধু এই কোম্পানিতে নয় বাংলাদেশ উৎপাদিত পণ্যগুলো আন্তর্জাতিক মানের।
মেক্সিকোতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য ল্যাটিন আমেরিকার বাণিজ্যিক দুয়ার আরব বিস্তৃত হয়েছে। দূতাবাসের সহযোগিতায় ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো আগামী দিনে বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণ হবে বলে আশাবাদী ব্যবস্থায়ীরা।
মারিয়া এলেনা ক্যাস্টিলো যেই শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন তার নাম আল মুসলিম গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠানটির এম ডি আব্দুল্লাহ। ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ মনোযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওই অঞ্চল জনবহুল। অনেক বড় বাজার। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সেখানে চমৎকার সম্ভাবনা খুঁজে দেখতে পারেন। আমরা ইতোমধ্যে কথা বলে আশাবাদী হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মেক্সিকোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী আমাদেরকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করছেন। তার সহায়তায় আমরা এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারছি। যাতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বাজার বড় হয়। প্রতিটি দূতাবাস থেকে এ ধরনের সহযোগিতা পেলে আমাদের বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার সাহস রাখে।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: