• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

পোশাক তৈরিতে অপচয়ের সর্বোচ্চ হার পুনর্নির্ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ২১:৫৫, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
পোশাক তৈরিতে অপচয়ের সর্বোচ্চ হার পুনর্নির্ধারণ

ছবি সংগৃহিত

নকশা পরিবর্তনের ফলে উৎপাদন অপচয়ের ক্ষেত্র বেড়েছে, একইসঙ্গে বেড়েছে উৎপাদন অপচয়। যে কারণে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সরকার অপচয়ের সর্বোচ্চ হার পুনর্নির্ধারণ করে দেয়। দুই মাস না যেতেই তৃতীয় দফায় সেই আদেশ পরিবর্তন করে অপচয়ের নতুন স্থলাভিষিক্ত হার ঠিক করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এর আগে ১৯৯৮ সালে পোশাক পণ্যের উৎপাদন অপচয়ের সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বন্ডের ওয়্যারহাউজে শুল্ক সুবিধায় আমদানি করা পোশাক তৈরির কাঁচামাল সুতা-কাপড়ের হিসাব নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। যার পরিপ্র্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অপচয়ের হার পুনর্নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করে দেয়। পোশাক খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সেই কমিটি অপচয়ের সর্বোচ্চ হার নির্ধারণের সুপারিশ করে। যার আলোকে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ হারের আদেশ জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে সেই হারে সন্তুষ্ট হতে পারেননি পোশাক শিল্প মালিকরা। পোশাক পণ্যের নকশার বৈচিত্র্য ও মূল্যসংযোজন মাত্রা বৃদ্ধির যৌক্তিকতা উত্থাপন করে পুনর্নির্ধারিত হারের পাশাপাশি পণ্যভিত্তিক সর্বোচ্চ হার কাঠামোতেও পরিবর্তনের দাবি তোলেন তারা। সেসব দাবি আমলে নিয়ে পুনর্নির্ধারিত হারও পরিবর্তন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পুনর্নির্ধারিত হারকে স্থলাভিষিক্ত করা আদেশটি রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হাতে পেয়েছেন শিল্প মালিকরা।

১৯ ডিসেম্বর জারি হওয়া আদেশে টি-শার্ট, পোলো শার্ট, ট্রাউজার, শর্টস, স্কার্ট, পাজামা ধরনের পণ্যগুলোকে বেসিক নিট হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। এ ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রে অপচয়ের সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ করা হয় ২৭ শতাংশ। আদেশটিতে এসব পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়াগুলোতেও অপচয়ের হার সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। নিটিংয়ে ১ শতাংশ, ডায়িং ও ফিনিশিংয়ে ৯, কাটিংয়ে ১৩ ও ভ্যালু অ্যাডিশনে ১ শতাংশ। সুইং, ওয়াশিং, ফিনিশিং এবং ইন্সপেকশনের ক্ষেত্রে অপচয় হার নির্ধারণ হয় সর্বোচ্চ ১ শতাংশ।

স্থলাভিষিক্ত করা আদেশে টি-শার্ট, পোলো শার্ট, ট্রাউজার, শর্টস, স্কার্ট, পাজামা ধরনের বেসিক নিট পণ্যে অপচয়ের সর্বোচ্চ হার ২৭ থেকে বৃদ্ধি করে ২৯ শতাংশ করা হয়েছে। প্রক্রিয়াভিত্তিক অপচয়ের আলাদা কোনো হার উল্লেখ না করে বলা হয়েছে বেসিক নিট পণ্যের সুতা থেকে কাপড় তৈরিতে অপচয়ের হার ১২ শতাংশ এবং কাপড় থেকে পোশাক তৈরিতে ১৭ শতাংশ হবে অপচয়ের হার।

আগের আদেশে রমপার্স, ট্যাংক টপ, ড্রেস, গাউন, হুডি বা লঞ্জারির মতো বিশেষ ধরনের পোশাকের ক্ষেত্রে অপচয়ের সর্বোচ্চ হার ছিল সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ। এসব পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়াগুলোয় নিটিংয়ে ২ শতাংশ, ডায়িং অ্যান্ড ফিনিশিংয়ে ৯, কাটিংয়ে ১৫, ভ্যালু অ্যাডিশনে ১ শতাংশ অপচয়ের হার নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। এছাড়া সুইং, ওয়াশিং, ফিনিশিং এবং ইন্সপেকশনের ক্ষেত্রে অপচয় হার নির্ধারণ হয় সর্বোচ্চ ১ শতাংশ।

স্থলাভিষিক্ত আদেশে এ ধরনের বিশেষ পোশাকের ক্ষেত্রে অপচয়ের সর্বোচ্চ হার ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রক্রিয়াভিত্তিক অপচয়ের আলাদা হার উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, সুতা থেকে কাপড় তৈরিতে ১২ শতাংশ এবং কাপড় থেকে পোশাক তৈরিতে অপচয়ের হার হবে ২০ শতাংশ।

এছাড়া ডিসেম্বরের আদেশে সোয়েটার্স, জাম্পার্স, পুলওভার্স, কারডিগানস, ভেস্টস, সকস, গ্লাভসের মতো পণ্যকে সোয়েটার ও সকস হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ ধরনের পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে অপচয়ের সর্বোচ্চ হার ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। স্থলাভিষিক্ত আদেশে এ ধরনের পণ্যগুলোর সর্বোচ্চ অপচয় হার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। পুরোনো আদেশে প্রক্রিয়াভিত্তিক অপচয়ের ক্ষেত্রে নিটিংয়ে ২ শতাংশ, লিংকিং, ওয়াশিং ও ফিনিশিংয়ে ১ শতাংশ করে অপচয়ের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবার এ পণ্যগুলো ইন্সপেকশনের অপচয়ের হারও নির্ধারণ হয় সর্বোচ্চ ১ শতাংশ। তবে প্রক্রিয়াভিত্তিক কোনো অপচয়ের হার স্থলাভিষিক্ত আদেশে উল্লেখ নেই।

অপচয়ের পুনর্নির্ধারিত এই হার চলতি অর্থবছর ২০২১-২০২২ এর জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে। যা বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বা পদক্ষেপ গ্রহণ করতেও বলা হয়েছে।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: