• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

এক লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন গম খালাস চলছে চট্টগ্রাম বন্দরে 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ২৩ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
এক লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন গম খালাস চলছে চট্টগ্রাম বন্দরে 

ভারত থেকে আমদানি করা দু’টি জাহাজের এক লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন গম খালাস চলছে চট্টগ্রাম বন্দরে। সরকারিভাবে আমদানিকরা এসব গম মাদার ভেসেল থেকে লা্ইটার জাহাজে (ছাট জাহাজ) খালাসের পর সরকারি খাদ্য বিভাগের গুদামে রাখা হবে। পরে এসব গম বিক্রি বা বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

ভারত থেকে ৫২ হাজার ৫০০ টন সরকারি গম নিয়ে শনিবার (২১ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের বহি:নোঙ্গরে নোঙ্গর করে পানামার পাতাকাবাহী ‘এমভি ভি স্টার’ নামের জাহাজটি। এটি ১২ মে ভারতের কান্দলা বন্দর ছেড়ে আসে। নোঙ্গরের পর উদ্ভিদ সংগনিরোধ সনদসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার সকাল থেকে এসব গম লাইটারিং করে ছোট জাহাজে খালাস করা হচ্ছে।

এর এক সপ্তাহ আগে ভারতের কান্দলা বন্দর থেকে ৫২ হাজার ৫০০ টন সরকারি গম নিয়ে আসে ‘ইমানুয়েল সি’ নামে একটি জাহাজ। এটি ৭মে ভারতের কান্দলা বন্দর ছেড়ে আসে। এই জাহাজটি থেকেও লাইটার জাহজে গম খালাস কাজ চলছে। লাইটার জাহাজ থেকে উপকূলে এনে সরকারি খাদ্য বিভাগের গুদামে রাখা হবে।

জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট সেভেন সী শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মো. আলী আকবর জানান, বহি:নোঙ্গরে জাহাজটির ৫০ ভাগ গম খালাস সম্পন্ন হয়েছে। বাকি গম খালাস কাজ চলছে। এই জাহাজের সাড়ে ১২ হাজার টন গম খালাস করা হবে মংলা বন্দরে। চট্টগ্রামে খালাস কাজ শেষ করে দু’একদিনের মধ্যে এম ভি ‘ইমানুয়েল সি’ জাহাজটি যাবে মংলা বন্দরে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক মো. আবদুল কাদের জানান, মে মাসে  সরকারি গমের জাহাজ এসেছে দ ‘টি। দ্রুত এসব গম সারা দেশে খাদ্য বিভাগের গুদামে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পাইপ লাইনে আছে আরও দু’টি জাহাজ। সরকারি চ্যানেলে এসব গম বিক্রি বা বিতরণ করা হবে।

দেশে বছরে গমের চাহিদা প্রায় ৭৫ লাখ টন। এই চাহিদার ৬৫ লাখ টনই আমদানি করতে হয়। ভারত, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব গম আমদানি করা হয়। এবার আমদানি কিছুটা কম হলেও বাজারে গমের অভাব নেই। কিন্তু ভারতের  রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় উত্তাপ ছড়িয়েছে পাইকার ব্যবসা কেন্দ্র খাতুনগঞ্জে। কেজিতে দাম বেড়েছে ছয় থেকে সাত টাকা এবং ৪৮ কেজির
বস্তায় বেড়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমায় হতাশ ব্যসায়ীরাও। সংকট উত্তরণে বিকল্প উৎসের সন্ধান এবং পাইপলাইনে থাকা ভারতীয় গম দ্রুত আনার পরামর্শ দেন আমদানিকারকরা।

চট্টগ্রাম বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. নাছির উদ্দীন জানান, ইউক্রেন-রাশিয়া থেকে গম না আসলেও কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত থেকে প্রচুর গম আসছে। সরকারের সহযোগিতায় ব্যবসায়ীরা গমের বিকল্প উৎসের সন্ধান পাবেন, তাই সংকট তৈরী হবে না বললেন সরকারি এই কৃষিবিদ।

ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় শুধু খাতুনগঞ্জ নয়, গমের দাম বেড়েছে বিশ্ববাজারেও। নিম্ন মানের ভারতীয় গম টনপ্রতি আগের ৩৯০ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪০ ডলারে। ভাল মানের কানাডার গম ৫৪৫ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯০ ডলারে। দাম যত বাড়বে, দেশে রুটি-পরোটা থেকে গমের সব খাদ্যপণ্যের দামও বাড়বে।
 

বিভি/এনইউটি/এএন

মন্তব্য করুন: