• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ৬ জুন ২০২২

আপডেট: ১৯:৩৭, ৬ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তবে সরকারি হিসাবে রবিবার (৫ জুন) নিহতের সংখ্যা ৪৯ বলা হলেও দুপুরে সেই সংখ্যা ভুল ছিল বলে জানায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে ৪১ জনের। সে কারণে ৪৯ জন নয়, প্রকৃত নিহতের সংখ্যা হবে ৪১।’

এর আগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ও সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী নিহত মানুষের সংখ্যা ৪৯ বলে জানিয়েছিলেন। তবে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে এই দুই সংস্থাও এখন নিহত মানুষের সংখ্যা ৪১ বলে জানিয়েছে।

বিএম ডিপোতে আগুনে নিহতের সংখ্যা নিয়ে সকালে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন হাসপাতালে গণমাধ্যমকে বলেন, নিহতের সংখ্যা ৪১।

গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভেতর আগুন লাগার পর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল আশপাশের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা। ওই ঘটনায় বিস্ফোরণ ও আগুনে পুড়ে নয়জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ নিহত হয়েছে ৩২ জন। এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত হয়েছে প্রায় ১৫০ জন। আহত হয়েছে প্রায় চার শতাধিক মানুষ। তারা চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও রয়েছেন ডিপোর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবহন শ্রমিকেরা।

এদিকে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১৪ জনকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। তাঁদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এ ঘটনার তৃতীয় দিনেও আগুন জ্বলতে দেখা যায় কিছু কনটেইনারে।

বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা। এর সঙ্গে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার কোনো মিল নেই।’ তিনি জানান, ২০১১ সালের মার্চে টার্মিনালটি নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশ যৌথ মালিকানায় এই ডিপোটি তৈরি করা হয়। প্রতি বছর এই ডিপো থেকে দেশের মোট কন্টেইনারের প্রায় ১০ শতাংশ এখান থেকে আমদানি-রফতানি করা হতো। এ প্রতিষ্ঠানটি আমাদের জাতীয় অর্থনীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। দুর্ঘটনার সময় এই ডিপোটিতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কনটেইনার পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য প্রস্তুত ছিল। এগুলোর বেশিরভাগ ছিল তৈরি পোশাক।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)  প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএমের ডিপোতে বেশি ক্ষতি হয়েছে রফতানির উদ্দেশ্যে কনটেইনার বোঝাইকরা পণ্য। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার রফতানিপণ্য পুড়েছে। তবে আগুনে ঠিক কতগুলো প্রতিষ্ঠানের পণ্য পুড়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। এখন পর্যন্ত আমরা ১৬টি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম পেয়েছি।’

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: