• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

বছরের প্রথম তিনমাস রেমিট্যান্স প্রেরণের শীর্ষে চার বিভাগ 

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ১৯ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ২০:৩৮, ১৯ অক্টোবর ২০২২

ফন্ট সাইজ
বছরের প্রথম তিনমাস রেমিট্যান্স প্রেরণের শীর্ষে চার বিভাগ 

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠানোর দিক দিয়ে দেশের শীর্ষে রয়েছে চার বিভাগ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেমিট্যান্স প্রেরণের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এসব জেলায় গড়ে ৫০-৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠান প্রবাসীরা। জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা জেলায়, দ্বিতীয় অবস্থানে চট্টগ্রাম, তৃতীয় সিলেট এবং খুলনা বিভাগ। 

ঢাকা বিভাগের শীর্ষ তিন জেলা 
ঢাকা ৫০ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় স্থানে টাঙ্গাইল ২ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার এবং তৃতীয় স্থানে নারায়ণগঞ্জ ২ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার।

চট্টগ্রাম বিভাগের শীর্ষ তিন জেলা 

চট্টগ্রাম ১০ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় স্থানে কুমিল্লা ৯ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার এবং তৃতীয় স্থানে নোয়াখালী ৪ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার।

সিলেট বিভাগের শীর্ষ তিন জেলা 
সিলেট ৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় স্থানে মৌলভীবাজার ৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার এবং তৃতীয় স্থানে হবিগঞ্জ জেলা ২ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার।

খুলনা বিভাগের শীর্ষ তিন জেলা 
যশোর ২ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় স্থানে  ৯১ লাখ মার্কিন ডলার এবং তৃতীয় স্থানে খুলনা  জেলা ৯০ লাখ মার্কিন ডলার।

দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স হিসাব পর্যালোচনা করে এই তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশের  সব জেলায় কমেছে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ। 

ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসায় এমন চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের একটি বড় অংশ অবৈধ উপায়ে বা হোন্ডির মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা আনায় বৈধ চ্যানেলে টাকা আসার পরিমাণ কম দেখা যাচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাফেদার সঙ্গে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত এবং ৪২টি‌কে শো‌কজ করা হয়েছে।  

এছাড়াও চলতি বছরে পহেলা জানুয়ারি সরকার প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রণোদনা পরিমাণ বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করেছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রবাসীরা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিভাগে ৭৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগস্টে ৯৭৪ এবং জুলাইতে ৯৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। 

চট্টগ্রাম বিভাগে সেপ্টেম্বরে ৪০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগস্টে ৫৪৪ মিলিয়ন এবং ৫৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন।

এছাড়া সিলেট বিভাগে সেপ্টেম্বরে ১৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগস্ট ২২৯ মিলিয়ন এবং জুলাই ২৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

খুলনায় সেপ্টেম্বরে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগস্টে ৯২ মিলিয়ন এবং জুলাই ৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

রাজশাহীতে সেপ্টেম্বরে ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগস্টে ৮১ মিলিয়ন এবং জুলাই ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

বরিশালে সেপ্টেম্বরে ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগস্টে  ৪৮ মিলিয়ন এবং জুলাই ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

ময়মনসিংহে সেপ্টেম্বরে ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগস্টে ৩৬ মিলিয়ন এবং জুলাই ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

এবং রংপুরে সেপ্টেম্বরে ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগস্টে  ৩০ মিলিয়ন এবং জুলাই ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ঢাকা বিভাগে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ হাজার ৮৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, তবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি ১২ হাজার ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

একই সময়ে সিলেট বিভাগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, তবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

অপরদিকে খুলনা বিভাগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, তবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে যা ছিলো ১ হাজার ১৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

ওই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৫ হাজার ৪১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, তবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে যা ছিলো ৬ হাজার ২২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

এরআগে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসীরা ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার বা ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠায়। আগস্টে তা কিছুটা কমে ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ (২ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার) ডলারে নেমে আছে। এবং সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় (১ ডলার ১০৭ দশমিক ৫০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ছিলো ১৬ হাজার ৫৪৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

সে হিসাবে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তিন মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৬৭ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: