এমডির পদত্যাগের বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো ন্যাশনাল ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মেহমুদ হোসেন। তার এমডি পদে মেয়াদ শেষে হওয়ার ১১ মাস আগেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। মেহমুদ হোসেন এমডি পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিলো আগামী ৮ ডিসেম্বর। ইতোপূর্বে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পাঠানো হয়।
ন্যাশনাল ব্যাংক জানায়, ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন তার পদত্যাগপত্রে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ উল্লেখ করেছেন, তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়নি।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি রাজধানীর বনানীর ১১ নম্বর সড়কের সিকদার হাউসে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৭-৮ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন ব্যাংকের পরিচালকরা রিকভারি ও নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) সংক্রান্ত মিটিংয়ে যোগ দেন। ওই মিটিংয়ে অডিট কমিটির পক্ষ থেকে তাকে ব্যাংকের বিভিন্ন ইন্ডিকেটর ও সামগ্রিক পারফর্মেন্স নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ওই মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯ জানুয়ারি অডিট কমিটির মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ওই সময় তিনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের কাছে তিনি ছুটির জন্য আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে একই দিনে তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
বহু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মতো সিকদার হাউজেও নিয়ম অনুযায়ী মিটিং চলাকালীন সব কর্মকর্তা ও পরিচালকদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়। ফলে ওই মিটিংয়ের সময়েও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেনসহ উপস্থিত সবাই মোবাইল ফোন বন্ধ করে মিটিংয়ে অংশগ্রহণ নেন।
প্রকাশিত সংবাদে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডে সিকদার গ্রুপের হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত নানা নেতিবাচক কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা আদৌ সত্য নয়। বরং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি প্রতিপালনের মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মেহমুদ হোসেন এক বছরের বেশি সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালীন ব্যাংকের কোনও সফলতা আসেনি বলে দাবি করছে ন্যাশনাল ব্যাংক।
গত বছরের ২ অক্টোবর ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক পদে বাংলাদেশ ব্যাংক রিক হক সিকদারকে অনুমোদন দেয়। এর আগে ব্যাংকের ৪৫৮তম পর্ষদ সভায় মনোনীত রিক হক সিকদারকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক হিসেবে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: