রোজায় চিনির সংকট দেখা দিতে পারে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের

রোজায় চিনির সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। চিনিসহ রোজায় অত্যাবর্শকীয় পণ্য আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’এর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধের পরও রিজার্ভ থেকে চাহিদা মাফিক ডলার পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন আমদানিকারকরা।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এফবিসিসিআই ভবনে আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে করণীয় নির্ধারণে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ী, বিভিন্ন বাজার সমিতি, উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, সরবরাহকারীসহ সকল অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা ব্যবসায়ীরা এ অভিযোগ করেন।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, রোজার মাস খুবই নিকটে। গেল বছরের পেঁয়াজের অভিজ্ঞতাকে মাথায় নিয়ে এবার চিনির সংকট দেখা দিতে পারে। কারণ এবার পর্যাপ্ত পরিমাণ ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে এলসি হলেও ডলারের অপর্যাপ্ততায় সময় মত দেনা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। ফলে সময় মতো পণ্য নিয়ে এসে সাগরে ভাসছে জাহাজ। কিন্তু সেটেলমেন্ট না হওয়ায় পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’এর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককের কাছে রিজার্ভ থেকে ডলার চেয়ে একাধিকবার অনুরোধ করলেও রিজার্ভ থেকে চাহিদা মাফিক ডলার পাচ্ছেন না আমদানিকারকরা।
এ বিষয়ে সিটি গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘চিনি আমদানির জন্য এলসি হচ্ছে। কিন্তু সময় মত সেটেলমেন্ট হচ্ছে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বারবার অনুরোধ করলেও বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে যথাযথ ডলার দিচ্ছে না।
দেশের আরেক বৃহৎ চিনি আমদানিকারক মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তা তসলিম শাহরিয়ার বলেন, ‘সরকার খোলা চিনি ১০৭ টাকা প্যাকেট জাত চিনি ১১২ টাজা নির্ধারণ করেছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেনি। কিভাবে চিনির দাম নির্ধারণ করা হলো।
মৌলভীবাজারের একজন পাইকারী ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা জানি না কিসের ওপর ভিত্তি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কেউ কোনো কথা বলেনি। অথচ আমরা চিনি কেন ১০৭-১১২ টাকার বেশি বিক্রি করছি তার জন্য ভোক্ত অধিকার ও ক্যাবকে জারিমানা দিতে হচ্ছে। এজন্য অনেক পাইকারী ব্যবসায়ী এখন চিনি বিক্রি ছেড়ে দিচ্ছেন। সরকারের কাছে অনুরোধ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করুন। নয়তো আগামী দিনের খাটের নিচে চিনি পাওয়া যাবে।
সভায় সভাপতিত্ব করছেন এফবিসিসিআইএর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তাফা আজাদ চৌধুরী, হাবিবুল্লাহ ডন, জতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এইচ এম সফিকুজ্জামান, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ক্যাবের মুখপাত্র কাজী আবদুল হান্নানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: