বিজনেস সামিট ২০২৩
সৌদি আরব ও চীন বাংলাদেশে কৃষিপণ্য প্রসেসিং ফ্যাক্টরি করতে আগ্রহী (ভিডিও)
বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজন করেছে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট- ২০২৩’। সম্মেলনে বিশ্বের ১৭টি দেশের দুই শতাধিক বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নিচ্ছেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত নিয়ে ১৭টি সেমিনার ও ৩টি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ৭টি দেশের মন্ত্রী এবং ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরা।
এফবিসিসিআই’র পরিচালক ও আইইউবিটির অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী বেগম বলেন, কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে বাংলাদেশের কৃষিতে তেমন কোনো বিদেশি বিনিয়োগ নেই। যে কারণে কৃষক তার উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। টমেটু, ফুলকপি, গাজরসহ অনেক কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে না পেরে নষ্ট করে ফেলে। আমাদের প্রচুর শাক-সবজি ও ফল-মূল থাকার পরও আমাদের এখানের তেমন বিনিয়োগ নেই। কৃষিতে ডাইভারসিফিকেশন দরকার। ইতোমধ্যে সৌদি আরব ও চীন বাংলাদেশে ফুড প্রসেসিং ইন্ড্রাস্টি করার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানান এ কৃষি বিজ্ঞানী।
ফ্রান্স ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সদস্য মির্জা মাজহারুল বলেন, ‘গত ১৪ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসেপ্টে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। সে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আসছেন। বাংলাদেশের বিশাল জনশক্তি কারণে এখানে আবাসন ও খাদ্যের ব্যবসার সম্ভাবনা দেখছেন ফ্রান্সের এ তরুণ উদ্যোক্তা।
বাণিজ্য সামিটের মাধ্যমে দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক ও ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী। তিনি বলেন, সামিটের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আমরা এ ম্যাসেজ পৌঁছে দিতে চাই যে, বাংলাদেশেও বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বৈশ্বিক মন্দা বিশ্বজুড়ে। বেস্ট অব বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য। দেশের উন্নতির জন্যই আমাদের বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই দরকার।
ট্যুরিজম অ্যান্ড সিভিল এভিয়েশন সংক্রান্ত এফবিসিসিআই’র পরিচালক এম জি আর নাসির মোজুমদার বলেন, সারাবিশ্বে এ ধরনের ব্যবসায়ী সম্মেলন হয়ে থাকে। কিন্তু একজন বিনিয়োগকারী কোথায় বিনিয়োগ করবেন সে বিষয়গুলো তুলে ধরাই সামিটের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগের বিরাট সুযোগ রয়েছে। এতোমধ্যে আমাদের প্রায় ১১০০ টুরিজম স্পস্ট রয়েছে। এসব জায়গায় বিনিয়োগ পাওয়া গেলেট্যুরিজম খাত সরকারের রাজস্ব আয়ের বড় একটা অংশ হবে।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: