বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশে ভোজ্যতেলের বাজারে রমজানেও নেই সুখবর

ফাইল ছবি
রমজানে ভোজ্যতেলের বাজারে কোনো সুখবর নেই। বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশের বাজারে এর সুফল মিলছে না। দীর্ঘদিন ধরে বাড়তি দামে তেল কিনে ক্ষোভ জমেছে ক্রেতাদের মাঝে। কয়েকটি কোম্পানির কাছে বিশাল এই বাজার জিম্মি বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। তবে দাম কমার সুখবর আসতে পারে সবধরনের ডালের। দাম যাতে না বাড়ে এজন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো পণ্য না কেনার পরামর্শ বাজার বিশ্লেষকদের।
অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতোই রমজানে চাহিদা বাড়ে ভোজ্যতেলের। ইফতারে ভাজাপোড়া কিংবা নিত্যপ্রয়োজনে এ মাসে কদর বাড়ে আমদানি করা পণ্যটির। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবি'র তথ্য বলছে, অন্যান্য মাসে দেড় লাখ টন ভোজ্যতেলের প্রয়োজন হলেও এমাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় তিন লাখ টনে। যার পুরোটাই আমদানি নির্ভর।
শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডের তথ্য বলছে, ডিসেম্বরে অপরিশোধিত পাম অয়েলের বুকিং দর কমেছে ৬৯৪ ডলার এবং সয়াবিনের টন প্রতি বুকিং দর কমেছে ৪৭৮ ডলার। তবে কেনো তার নিম্নমুখী প্রভাব পড়ছে না দেশের বাজারে?
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অপরিশোধিত পাম অয়েলের আমদানি কমেছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৯ টন। তবে আশংকার কথা হচ্ছে শেষ প্রান্তিকে এলসি খোলার হার কমেছে ২৮ শতাংশ। এ অবস্থায় নতুন করে দাম না বাড়াতে বাজার মনিটরিংয়ের তাগিদ ক্রেতাদের।
এদিকে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে ডাল, ছোলা ও বেশনের দাম কিছুটা কমার সুখবর দিচ্ছেন পাইকাররা। তবে এরই মধ্যের দাম বাড়ায় ক্ষোভ জানান ক্রেতারা। দাম নাগালের মধ্যে রাখতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত না কেনার পরামর্শ বাজার বিশ্লেষকদের।
অন্যমাসে ছোলার ২০ হাজার টন চাহিদা থাকলেও রমজানে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ মেট্রিক টনে।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: