ইবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতির উপর হামলার অভিযোগ!
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতির উপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর তিনটার দিকে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম এমদাদুল আলম।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আজ দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের নিচে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করা হয়েছে। এছাড়াও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। এমনকি আমাকে তুলে নেওয়ায় জন্য চেষ্টা করা হয়েছে, এসময় অন্যান্য কর্মকর্তারা বাঁধা দেয়। এটা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের কাজ হতে পারে না।"
তিনি আরও জানান, ১৬ দফা দাবিতে আমরা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। তবে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাজ আমরা চলমান রেখেছি। কর্মসূচির আওতায় দুপুরে আমি প্রশাসন ভবনের নিচে অর্থ ও হিসাব শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের কক্ষে যাই। সেখানে কর্মসূচির দেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তাকে জিজ্ঞেস করি। এসময় তিনি আমাদের কর্মসূচির বাহিরে গিয়ে প্রশাসনের নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছেন বিষয়টি জানতে পারি। ঠিক সেই সময়ে কর্মকর্তাদের আন্দোলনকে বিভক্তকারী কিছু কর্মকর্তা সেখানে আসেন। এসময় কর্মকর্তা হান্নান, আলমগীর, জিল্লু, সেলিম, বাদল, মনিরুল ও আসাদসহ কয়েকজন কর্মকর্তাও আমার উপর মারমুখী হয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পরেই ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কয়েকজন আমার উপর হামলা করেছে। জোরপূর্বক আমাকে কক্ষ থেকে বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা আমাকে রক্ষা করেছে। অথচ সাধারণ সম্পাদকের পিতা আমার সহকর্মী। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে তার সন্তানকে দিয়ে আমাকে হেনস্তা করিয়ে নিলেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মজুমদার, কর্মী শাহিন আলম, বাঁধন, হাফিজসহ আরও বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি উপস্থিত হয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতিকে উদ্ধার করেন। এছাড়াও ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তবে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতির অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসময় কিছু ছাত্র সমিতির সভাপতির কাছে জবাবদিহিতার জন্য যায়। এবং এক ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তখন আমি তাদের নিভৃত করার জন্য যাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি বিশৃঙ্খলা দেখেছি। পরে পরিস্থিতি সমাধান করেছি।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: