রাত পোহালেই চাকসু নির্বাচন, ফুরোচ্ছে ৩৫ বছরের অপেক্ষা

৩৫ বছর পর আগামীকাল হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা শেষ। ব্যালট পেপারে ওএমআর পদ্ধতিতে হবে ভোটগ্রহণ ও গণনা। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে নেয়া হয়েছে চার ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রাত পোহালেই বহুল আকাঙ্খিত চাকসু নির্বাচন। যে নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা ৩৫ বছরের। সবশেষ ১৯৯০ সালে হয়েছিলো চাকসু'র ভোট। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল
চারটা পর্যন্ত।
এরইমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। পাঁচটি অনুষদে হবে ভোটকেন্দ্র। প্রতিটি কেন্দ্রে ১২টি করে মোট ৬০টি ভোটকক্ষ থাকবে। নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে থাকছে ৪ ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোটগ্রহণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভোটগ্রহণ ও গণনা প্রক্রিয়া সরাসরি দেখাবে ক্যাম্পাস জুড়ে স্থাপন করা ১৪টি বড় এলইডি স্ক্রিনে। জালভোট রোধে ভোটার তালিকায় থাকছে শিক্ষার্থীদের ছবি ।
এদিকে, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা জানিয়ে ভোটাররা বলছেন- প্যানেল নয়, ভোট দেবেন প্রার্থীদের যোগ্যতা বিবেচনায়।
চাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৬ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী এবং হল ও হোস্টেল সংসদে যথাক্রমে ১৪ ও ১০টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯৩ জন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: