দক্ষিণের ‘বাতিঘর` বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
কীর্তনখোলা তীরের মনোরম ক্যাম্পাস টানছে দর্শনার্থীদের(ভিডিও)
গ্রীষ্মের প্রখর রোদ্দুরে জারুলের গাঢ় বেগুনি রঙ,দখিনা পাতাস, পাখির কলতান, ফুলের সৌরভ আর নদীর কলকল ধ্বনি। সব কিছুর মিশেলে এ যেন সবুজ শ্যামল বাংলার অপরুপ এক সৌন্দর্য। বলছি কীর্তনখোলা নদীর তীরে কর্ণকাঠিতে গড়ে উঠা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা।
বরিশাল শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কীর্তনখোলা নদীর তীরে বরিশাল-পটুয়াখালী-ভোলা মহাসড়কের গা ঘেঁষেই যার অবস্থান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দার্যের আকর্ষণ কেড়েছে দর্শনার্থীদেরও। তাই পড়ালেখার পাঠ গুছিয়ে ফেলেলও বিকাল নামলেই নতুন করে দর্শনার্থীদের আনাগোনায় প্রাণচাঞ্চল্য হয়ে উঠে ক্যাস্পাস অঙ্গন।
শুধু প্রকৃতিকে ঘিরেই প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য বিরাজমান নয় এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মেধা-মনন অবদান রাখছে দেশের উল্লেখযোগ্য স্থানে। গুগলে চাকরিসহ,বিসিএসে সফলতা, দুদক, সহকারী জজ, বিদ্যুৎ বিভাগের এজিএম পদে চাকরিসহ নতুন দিগন্তের কর্মযজ্ঞে পদার্পণ করে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যের ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে বাতাসে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রকৃতির সৌন্দর্য ছাড়া অবকাঠামো উন্নয়ন,আবাসিক হল সংকট দূরীকরণ ও একাডেমিক ভবন নির্মাণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় আরো এগিয়ে যাবে।
শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা সংগ্রাম, মননশীলতা, আধুনিকতায় বরিশাল অঞ্চলের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। এই সমৃদ্ধতাকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আরো বেগবান করবে বলে আশার কথা জানান, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানভীর কায়ছার
বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে বরিশাল অঞ্চলের রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান। অতীত গৌরবকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আরও দৃঢ় ও সমৃদ্ধ করে দক্ষিণাঞ্চলের সত্যিকারের ‘বাতিঘর’ হয়ে উঠুক, সবার প্রত্যাশা।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: