৪ ঘণ্টা হোটেলরুমে কী করছিলেন জায়েদ-সায়ন্তিকা: প্রশ্ন মনিরুলের
ওপার বাংলার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা চট্টোপাধ্যায় বাংলাদেশে এসেছিলেন সিনেমার শুটিং করতে। কিন্তু শুটিং শেষ না করেই একটি গুরুতর অভিযোগ তুলে দেশে ফিরে গেছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তার অভিযোগের ফলে শোবিজ অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে অভিযোগের তির চলে যাচ্ছে প্রযোজক মনিরুল ইসলামের দিকে। আবার পাল্টা বিবৃতিতে মনিরুল প্রশ্ন রেখেছেন নায়ক-নায়িকার কাছে।
গত ৩০ আগস্ট ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং করতে ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। গানের শুটিং করতে জায়েদ খানের সঙ্গে কক্সবাজার যান তিনি। কয়েকদিন শুটিং করে কলকাতায় চলে যান নায়িকা। তারপরই খবর আসে শুটিং শেষ না করেই কলকাতায় চলে গেছেন সায়ন্তিকা। এর পেছনে রয়েছে কারণ! কোরিওগ্রাফার মাইকেল বাবু নাকি তাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ’ করেছেন। এ কারণেই শুটিং শেষ না করে চলে গেছেন সায়ন্তিকা।
এ নিয়ে যখন নানা সমালোচনা তখন গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে সায়ন্তিকা জানান, কলকাতা যাওয়ার পেছনে মাইকেল নয়, প্রযোজক মনিরুল ইসলাম দায়ী। কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন প্রযোজক। বারবার বলার পরও টেকনিক্যাল সমস্যা সমাধান করতে পারেননি।
সায়ন্তিকার অভিযোগ সামনে আসায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনি জানান, সায়ন্তিকার সব অভিযোগ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে তার সমস্যা কোরিওগ্রাফার মাইকেল বাবুর সঙ্গে। পরিচালককে ফোন করে তাকে মারতেও চেয়েছিলেন। আর এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন কেন, সেটাই বুঝছি না। এছাড়াও হোটেল রুমে ৪ ঘণ্টা ছিলেন নায়ক-নায়িকা। ওই সময় হোটেলে তারা কী করেছেন?
আগেই পরিকল্পনা ছিল গানের শুটিং দিয়ে সিনেমার কাজ শুরু হবে। অপেশাদার আচরণ করেছেন সায়ন্তিকা। চুক্তির বাইরে তাকে ৫০ হাজার রুপি দেওয়া হয়েছে পোশাকের জন্য। অথচ তিনি কোনো পোশাক আনেননি। ড্রেসম্যান মনিরকে দিয়ে তার পোশাকের ব্যবস্থা করেছি। সেগুলোও ফেরত দিয়ে যাননি সায়ন্তিকা।
প্রযোজক বলেন, শুটিংয়ের সময় ড্রেস পরিবর্তনের জন্য বেলা ২টায় হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। তারা ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। ড্রেস চেঞ্জ করার জন্য তাদের চার ঘণ্টা সময় লাগে—এমনটা দেখিনি কখনো।
শুধু তাই নয়, যেদিন শুটিং প্যাকআপ করে পুরো ইউনিট নিয়ে চলে আসি, সেদিনও নায়ক-নায়িকা হোটেলে থেকে যান। ওই দিন সেখানে কী করছিলেন তারা? এ প্রশ্নের জবাব কী দেবেন তারা? কথাগুলো আমি সামনে আনতে চাইনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।
বিভি/এ.জেড
মন্তব্য করুন: