• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

গণপিটুনিতে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু, ‘মব জাস্টিস’ নিয়ে সরব ফারুকী 

প্রকাশিত: ১৬:০১, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফন্ট সাইজ
গণপিটুনিতে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু, ‘মব জাস্টিস’ নিয়ে সরব ফারুকী 

দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গানের গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সমাজের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেন তার লেখা ও কনটেন্টে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দেশ ও রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন এই নির্মাতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন ফারুকী। স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের চলমান অবস্থা এবং উত্তরণের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিত কথা বলে যাচ্ছেন তিনি। গণপিটুনিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মারা যাওয়া প্রসঙ্গেও এবার আওয়াজ তুলেছেন এই নির্মাতা।  

নিহত মাসুদ শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। সেও বড় ইতিহাস। ২০১৪ সালে বিরোধী মতাদর্শের একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা তাকে পিটিয়ে ও পায়ের রগ কেটে ফেললে তার দুই পা হারান মাসুদ। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সদ্যজাত মেয়ের জন্য ওষুধ আনতে ফার্মেসিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই আবারও হামলার শিকার হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এতিম হয় তার চারদিনের কন্যাশিশু।

ঘটনাটি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই কথা বলছেন। বিষয়টি নিয়ে ফারুকীও স্পষ্ট করেছেন তার মতামত। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুকে ফারুকী লেখেন, ‘রাজশাহীর ঘটনাটা মনটা দুমড়ে মুচড়ে দিল। ছোট বাচ্চাটার দিকে কি আমরা তাকাতে পারব? যদি তার বাবা অপরাধ করেও থাকে কে মবকে লাইসেন্স দিল বিচার করার? মবরাজ থামান। শৃঙ্খলা আনেন। না হলে কোনো সংস্কার কাজে আসবে না।’

এই নির্মাতা আরও লেখেন, ‘আমি জানি পুলিশ বাহিনীকে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর সমাধানের পথে তো হাঁটতে হবে। সবাই ঐক্য ধরে রেখে মববাজি থামাতে হবে। পুলিশকে আরও কনফিডেন্স দিয়ে এঙ্গেজ করতে হবে।’

সবশেষে ফারুকী বলেন, ‘বিপ্লবের কৃতিত্ব কার, কে ক্রিম খাবে, কাকে ঠেকিয়ে কাকে ওঠাতে হবে এটা পরেও করা যাবে। এখন এটা নিয়ে বিজি থাকলে বিশৃঙ্খলাই কেবল বাড়বে। ফ্যাসিস্ট শক্তি এটাই চায়। এখন ভাবেন তার চাওয়া পূরণ করবেন নাকি ইফেকটিভ সরকার কায়েম করবেন। প্লিজ।’

প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বিনোদপুর এলাকায় যান আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার অভিযোগে তার ওপর আক্রমণ হয়। পরে একদল শিক্ষার্থী তাকে প্রথমে মতিহার থানায় নিয়ে যান। কিন্তু মতিহার থানায় ৫ আগস্টের সহিংসতার কোনো মামলা নেই। তাই বোয়ালিয়া থানায় আনা হয়, যেন কোনো সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। কিন্তু মাসুদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর দেখে সেনাবাহিনীর সহায়তায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: