মৃত দাদাকে চিঠি লিখেছে শিশু রামিন, সুভাশিনী লিখেছে কাশফুলকে
প্রিয় কাশফুল, কেমন আছো তুমি। আমি খুব ভালো আছি। তোমার দেখা যেদিন আমি পেয়েছি মাঠের কোন যে কোনায়। সেদিনই মনে হয়েছে শরৎ এসেছে। তোমার স্পর্শে মনে হয় যেন আমি জটবাঁধা মেঘ ধরেছি। এভাবে শরতের কাঁশফুলকে চিঠি লিখেছে সুভাশিনী। মন ভোলানো কাঁশফুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আর কোনো মাধ্যম না পেয়ে চিঠিতেই আবেগ তুলে ধরলো সে।
ওদিকে নিজের জন্মের আগেই হারানো দাদাকে কখনও বলতে না পারা কথা তুলে ধরে চিঠিতে লিখেছে ১২ বছরের রামিন।
সুভাশিনী-রামিনের মতো কেউ চাঁদকে, কেউ আকাশ বা প্রকৃতিকে কেউ আবার চিঠি লিখেছে বন্ধু কিংবা স্বজনদের। এভাবে শিশু কিশোরদের নানান ভাব প্রকাশ করা হাজারেরও বেশি চিঠি এসেছে এখানে। সারাদেশের শিক্ষার্থীদের পাঠানো সেই সব চিঠি নিয়েই উৎসব মিলেছে ঢাকার অদূরের নতুন শহর পূর্বাচলে।
প্রযুক্তির ডামাডোলে সবাই যখন চিঠি লিখতে ভুলেই গেছে তখন এমন আয়োজন করেছে ষড়ঋতু উদযাপন পরিষদ। শুক্রবারের (১৩ অক্টোবর) এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন নগরবাসী। বসেছে নবীন-প্রবীনের মিলনমেলা। সেই সুযোগে করে নিলেন চিঠির স্মৃতিচারণ।
আয়োজকরা বলছেন, প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় ঐতিহ্যের চিঠির আবেদন যেন নতুন প্রজন্মের মন থেকেও হারিয়ে না যায় তাই এমন আয়োজন তাদের। বাঙালি সংস্কৃতি ধরে রাখতে এমন আয়োজন নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান আয়োজকরা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: