দিনব্যাপী ‘চীনা–বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী’

রাজধানীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে “নি হাও! চীনা–বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী”। বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার, বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই বিশেষ প্রদর্শনীতে সহ-আয়োজক হিসেবে যুক্ত ছিল চায়নিজ মেডিকেল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, চায়না–বাংলাদেশ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডক্টরস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এবং আমরা নারী।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর বনানীর হোটেল সারিনায় এ প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের জনগণকে আধুনিক চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা, হাসপাতাল সেবা এবং প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করা। এ উপলক্ষে চীনের ১২টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালের প্রতিনিধি, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সরাসরি উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্য পরামর্শ, স্ক্রিনিং এবং অন্যান্য সেবা প্রদান করেন। অংশগ্রহণকারীরা অন-সাইট ও অনলাইন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ, চিকিৎসার আমন্ত্রণপত্র, ভিসা সহায়তা, বিনামূল্যে অনুবাদ সেবা এবং বিমানবন্দর পিকআপসহ নানা সুবিধা সম্পর্কে তথ্য পান।
প্রদর্শনীর মধ্যে ছিল চীনের ১২টিরও বেশি নামকরা হাসপাতালের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতি, অন-স্পট ও অনলাইন স্বাস্থ্য পরামর্শ, চিকিৎসার আমন্ত্রণপত্র ও ভিসা সহায়তা ও ফ্রি ট্রান্সলেশন সেবা ও পূর্ণাঙ্গ লজিস্টিক সহায়তা।
চীনের অংশগ্রহণকারী হাসপাতালের মধ্যে ছিল- বোও ইয়িলিং হাসপাতাল, ফোসুন হেলথ ও শেনজেন হেংশেং হাসপাতাল, ফোশান ফোসুন চাঞ্চেং হাসপাতাল, গুয়াংজু ফোসুন চাঞ্চেং হাসপাতাল, গুয়াংজু শেংমেই হাসপাতাল, গুয়াংজু ফুদা ক্যান্সার হাসপাতাল, কুনমিং থংরেন হাসপাতাল, মডার্ন ক্যান্সার হাসপাতাল (গুয়াংজু), এবং সিং মে হাসপাতাল (গুয়াংজু)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, বাংলাদেশস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওপেং, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. সায়েদুর রহমান।
এছাড়াও বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মো. মুনিরুল ইসলাম, পিএইচ.ডি., চীনের হাসপাতাল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
আয়োজকরা জানান, “নি হাও!” প্রদর্শনী শুধুমাত্র একটি স্বাস্থ্য মেলা নয়, বরং বাংলাদেশ–চীন স্বাস্থ্যসেবা সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন। জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উন্নত চিকিৎসা সুবিধা সম্পর্কে ধারণা দিতে গণমাধ্যমের সক্রিয় অংশগ্রহণকে তারা বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন। সাংবাদিকদের জন্য ছিল বিশেষ এক্সেস, প্রেস কিট ও লাইভ কাভারেজের ব্যবস্থা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: