• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

যৌথভাবে মহাকাশে নভোচারী পাঠাতে সম্মত আমেরিকা-ভারত

প্রকাশিত: ১৩:১৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
যৌথভাবে মহাকাশে নভোচারী পাঠাতে সম্মত আমেরিকা-ভারত

পরপর ইসরোর মুকুটে জুড়েছে সোনালি পালক। একদিকে চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্য। তার পরেই পরেই আদিত্য-এল১ মিশনের সফল উৎক্ষেপণ। ভারতের জোড়া কৃতিত্বে বিদেশ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা ভেসে এসেছে। মহাকাশ গবেষণায় সদর্পে এগিয়ে চলেছে ভারত। 

আর এই প্রেক্ষাপটেই ভারতে আয়োজিত হয়েছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। দেশ বিদেশ থেকে রাষ্ট্রনেতারা উপস্থিত হয়েছেন। আরও সুদৃঢ় আরও মজবুত হচ্ছে বৈদেশিক সম্পর্ক। ভারতের জোড়া সাফল্যের প্রশংসা করেছে প্রতিটি দেশই। আর এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল ভারত-আমেরিকা যৌথভাবে মহাকাশচারী পাঠানোর কথা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তাঁর বাসভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৈঠকটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয়। শেষ হয় রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে। ৫২ মিনিটের বৈঠকে AI, মহাকাশ গবেষণা থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক বিষয় আলোচনা হয় মোদী বাইডেনের।

বৈঠক থেকে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় নভোচারীদের মহাকাশে পাঠানোর জন্য যৌথভাবে কাজ করবে। ২০২৩ সালের শেষের দিকে এই সম্পর্কে চূড়ান্ত পরিকল্পনা গৃহীত হওয়ার কথা রয়েছে।

চন্দ্রযান-৩ চাঁদে সফলভাবে পা রাখার জন্য বাইডেন মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণের জন্য মোদীর পাশাপাশি ইসরোর সব বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাইডেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য-এল১-এরও প্রশংসা করেন। সবাই একসঙ্গে ভাল কাজ করছে বলে প্রশংসার সুর তাঁর গলায়। বলা হয়েছে, ইসরো ও নাসা সহযোগিতা ও সমন্বর করে চলছে। মহাকাশে ভারতীয় মহাকাশচারীকে পাঠানো নিয়েও ইসরোর সঙ্গে কথা বলছে ও সহযোগিতা করছে নাসা।

শুধু এখানেই শেষ নয়, আমেরিকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহাকাশ রেসেও পুরোদস্তুর ঢুকে পড়েছে ভারত। আমেরিকার আর্টেমিস চুক্তিতে যুক্ত হয়েছে ভারত। কিছু দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে যৌথভাবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মোদী। আর সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, "আমরা সম্মত হয়েছি আর্টেমিস চুক্তি করার বিষয়ে। মহাকাশে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটা একটা নতুন পদক্ষেপ।"

আর্টেমিস চুক্তির একটা অংশই হল আর্টেমিস কর্মসূচি। এরই মধ্যে রয়েছে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানো। শুধু পাঠানোই নয়। এবার চাঁদে স্থায়ী বসতি স্থাপনের কথা ভাবছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানেও স্পেস সেন্টার তৈরির চিন্তাভাবনা চালানো হচ্ছে। তবে আপাতত নাসার লক্ষ্য আগামী অভিযানে চাঁদের কক্ষপথে একটি স্থায়ী অরবিটারকে স্থাপন করা।
 

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন: