ফেসবুক অ্যাকাউন্টের প্রাইভেসি চেকআপ করবেন যেভাবে!
বর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত তথ্য রাখার ঝোঁক যেমনই বেড়েছে ঠিক তেমনই একইসঙ্গে বেড়েছে এই পরিসরে ধোঁকাবাজির প্রবণতাও। প্রতিদিনের নানান কর্মকান্ডের ছবি-ভিডিও শেয়ার করাটা এখন দৈনিন্দ কাজে পরিণত হয়েছে, তবে এই ফলে প্রতিনিয়ত ক্ষুন্ন হচ্ছে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা।
সামজিক যোগাযোগ এই মাধ্যমে আপনার কিছু অসাবধনতা নিয়ে আসতে পারে বিপদ, তাই চলুন জেনে নেই নিজের কিংবা পরিবারকে একাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে কিছু করণীয়:
গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সেটিংস :
ফেসবুক আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৈরী করেছে একটি বিশেষ টুল যার মাধ্যমে মুহূর্তেই জানা যাবে একাউন্ট এর বর্তমান অবস্থা। মূলত পাসওয়ার্ড, টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন এবং লগইন নোটিফিকেশন এর সেবা আপনি চালু করেছেন কিনা কিংবা তার মধ্যে কোনো ত্রুটি আছে কিনা সেটা নিশ্চিত করা এই টুলস এর কাজ ।
প্রাইভেসি চেকআপ
Settings & privacy > Settings, switch to Security and Login > Privacy Checkup > Account Settings
অথবা সরাসরি ক্লিক করুন https://www.facebook.com/privacy/review/?review_id=573933453011661
অথবা যাবতীয় সব সেটিংস চেক করতে https://www.facebook.com/privacy/checkup
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড
অ্যাকাউন্টের সুরক্ষিত রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এর কোনো বিকল্প নেই । পাসওয়ার্ড হতে হবে ছোটবড় অক্ষর, নম্বর এবং বিশেষ ক্যারেক্টার মিলিয়ে, অন্ততপক্ষে বারো সংখ্যার, যা সহজে কেউ ধারণা করতে পারে না। যেমন—%$@#এই বিশেষ ক্যারেক্টার এবং সাথে ছোটবড় অক্ষর A a এবং নম্বর ৯৮৭১২৩৫। তবে এই ক্ষেত্রে কোনো ভাবে নিজের বা পরিবারের নাম, মোবাইল নম্বর, জন্ম সাল, বিশেষ দিবসের তারিখ ইত্যাদি দেয়া যাবে না।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন
আপনার অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখার জন্য অ্যাকাউন্টে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু রাখতে হবে। নতুন কোনো ডিভাইসে লগইন করতে গেলে প্রতিবারই আপনাকে ছয় সংখ্যার কোড (মোবাইল নম্বরে sms কোড কিংবা অথেন্টিকেটর এপপ্স ইউনিক কোড) দিয়ে লগইন করতে হবে । এতে করে অ্যাকাউন্টে বাড়তি নিরাপত্তা যুক্ত হবে।
লগইন নোটিফিকেশন সক্রিয় করুন:
যখন একটি নতুন ডিভাইস বা লোকেশন থেকে আপনার Facebook অ্যাকাউন্টে লগ ইন করবে বা চেষ্টা করবে, তৎক্ষণাৎ একটা ইমেল বা নোটিফিকেশন আপনার কাছে চলে আসবে, যাতে করে আপনি সতর্ক হতে পারেন এবং প্রয়োজনে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারেন
বন্ধু বাছাইয়ে সতর্কতা
কখনোই এমন কাউকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ না করা, যাকে আপনি চেনেন না। এক্ষেত্রে হ্যাকাররা হয়তো মিথ্যা পরিচয়ে আপনার বন্ধু হয়ে আপনার টাইমলাইনে স্প্যাম ছড়াতে পারে, আপনাকে বিব্রতকর পোস্টে ট্যাগ করতে পারে বা হ্যাকিংয়ের মেসেজ পাঠাতে পারে। তাই সতর্কতার সঙ্গে আপনার পরিচিত এবং বিশ্বস্ত মানুষদের বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করুন। আপনার ফেসবুক টাইম লাইনটি পোষ্ট করার জন্য অনলই মি করে রাখুন। এতে করে আপনার কোনো বন্ধুও আপনার প্রোফাইলে বা টাইম লাইনে কিছু পোষ্ট করতে পারবে না আপনার রিভিউ ছাড়া।
ফিশিং লিংকে ক্লিক নয়
আপনার সব থেকে কাছের মানুষ কিংবা সহকর্মীর একাউন্ট থেকে আপনার কাছে একটা মেসেজ এসেছে যেখানে হয়তো কোনো বিশেষ অফার/ডিসকাউন্ট কিংবা লটারি জিতার কথা বলা হচ্ছে আর আপনি হয়তো সাথে সাথে লিংকে ক্লিক করে বসছেন তাহলে আপনার বিপদ নিশ্চিত! কারণ ফিশিং লিংক দিয়ে বর্তমানে একজনের একাউন্ট হ্যাক করে বাকিদের একাউন্ট ও সহজে হ্যাক করা যায় তাই যে কোনো লিংক ক্লিক করার আগে চেক করেন লিংক এর এড্রেস ঠিক আছে নাকি? সন্দেহ হলে এড়িয়ে যান ।
ট্রাস্টেড কন্টাক্ট সেট করুন
আপনার অ্যাকাউন্ট এবং পেজের অ্যাকসেস হারিয়ে যেতে পারে। তাই আগেভাগে আপনার বন্ধুদের ট্রাস্টেড কন্টাক্ট হিসেবে সেট করে রাখতে পারেন। আপনি যেন নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে পারেন, সে জন্য তারা আপনাকে ইউআরএলের মাধ্যমে একটি রিকভারি কোড পাঠাতে পারবে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: