স্টারলিংক ছাড়াও আরো এক কোম্পানির দৃষ্টি বাংলাদেশে
নানা জল্পনা-কল্পনা আর অপেক্ষার প্রহর শেষে অবশেষে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ তৈয়্যব আহমদ।
ফয়েজ আহমদ বলেন, স্টারলিংক অফিশিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। সোমবার বিকালে তারা বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি তাদের এক্স হ্যান্ডেলেও পোস্ট করেছে স্টারলিংক।
শুরুতে ব্যবহারকারীদের জন্য স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ অফার করছে। এগুলো হলো স্টারলিংক রেসিডেন্স ও রেসিডেন্স লাইট। স্টার লিংক রেসিডেন্সে মাসিক খরচ ৬০০০ টাকা এবং স্টারলিংক রেসিডেন্স লাইটে খরচ ৪২০০ টাকা। স্টারলিংক বলছে, সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে।
স্টারলিংকের ইন্টারনেটে কোন স্পিড ও ডেটা লিমিট থাকবে না। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবে। খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমাণ এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে বলে করছেন অনেকেই। যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি সেখানে স্টারলিংকের এই সেবা যুতসই হবে বলে মত খাত সংশ্লিষ্টদের। এর মাধ্যমে এনজিও, ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তাদের নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তি নিশ্চিত হলো।
এর আগে বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা দিতে ৯০ দিন সময় বেঁধে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী ননজিও স্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) গাইডলাইন তৈরি করে সরকার। সে অনুযায়ী স্যাটেলাইট নির্ভর ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের বাংলাদেশে সেবা দিতে হলে দেশের ন্যূনতম যে কোন একটি গেইটওয়ে ব্যবহার করতে হবে। সে অনুযায়ী কাজ করছে ইন্টারনেট।
বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো। প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশযান নির্মাণ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে স্টারলিংক। বিশ্ব জুড়ে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে তারা। বর্তমানে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে ৪৬ লাখ গ্রাহক ব্যবহার করছেন স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট।
এদিকে বাংলাদেশে আ্যামাজনের কাইপার নামে আরো একটি স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সেবা আসার গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দেশের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সাথে এ সংক্রান্ত একটি আলোচনার তথ্য পেয়েছে বাংলাভিশন।
ইতিমধ্যে এপ্রিলে অ্যামাজন তার স্যাটেলাইট ব্র্যডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রোজেক্ট কাইপারের জন্য প্রথম লটে ২৭ টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে। ১০ বিলিয়েনের এই প্রোজেক্টে মোট ৩২৩৬ টি স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে অ্যামাজনের। জানা গেছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ন্যূনতম ১৬১৮ টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাবে অ্যামাজন।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: