• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

‘রোল আউট অবলিগেশন’ সেবায় পেশিশক্তি প্রধান অন্তরায়ঃ আইএসপিএবি

প্রকাশিত: ১৯:২৩, ২২ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ২২:৫১, ২২ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
‘রোল আউট অবলিগেশন’ সেবায় পেশিশক্তি প্রধান অন্তরায়ঃ আইএসপিএবি

বিটিআরসি’র ২০২০ সালের গাইড লাইন অনুযায়ী, চলতি বছর থেকে আগামী চার বছরে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ধাপে ধাপে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছাতে হবে। প্রথম বছর ২৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর ৫০ শতাংশ, তৃতীয় বছর ৭৫ শতাংশ এবং চতুর্থ বছর ১০০ শতাংশ অঞ্চল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে হবে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের এই সেবাকে বলা হচ্ছে ‘রোল আউট অবলিগেশন’। 

সূত্র বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে ‘রোল আউট অবলিগেশন’ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে, এই কার্যক্রমকে সফল করতে পেশিশক্তি বাধ সাধছে বলে মনে করছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- আইএসপিএবি’র সভাপতি ইমদাদুল হক বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, সরকারি গাইডলাইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। নেশনওয়াইড এবং ডিভিশনাল আইএসপিসহ সবাই চায় রোল আউট অবলিগেশন বজায় থাকুক। কিন্তু, মূল চ্যালেঞ্জটা দাঁড়াচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক এবং পেশিশক্তির প্রভাব। গাইডলাইন মেনে যখন আমরা কোনো এলাকায় সংযোগ দিতে যাবো তখন স্থানীয় পেশিশক্তির কারণে যেন আমাদের গুটিয়ে আসতে না হয়, সেদিক থেকে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ এবং বাস্তবায়ন জরুরি। তা না হলে রোল অব অবলিগেশন বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জই থেকে যাবে।

তবে, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।

এ বিষয়ে শনিবার (২২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো ঘরে ঘরে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ২০২০ সালে আইএসপি রেগুলেটরি ও লাইসেন্স-এর গাইডলাইন তৈরি করে। এই গাইডলাইন অনুযায়ী আগামী চার বছরে দেশের সকল লাইসেন্সধারী আইএসপিএবিগুলিকে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ধাপে ধাপে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে হবে। যাকে বলা হচ্ছে ‘রোল আউট অবলিগেশন’। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই সার্ভিস প্রান্তিক পর্যায়ে না দিতে পারে তবে বিধি অনুযায়ী বিটিআরসি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সরকার ও কমিশনের উদ্দেশ্য মহৎ আমরা এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তবে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে বেশ কিছু অসঙ্গতি ও প্রতিবন্ধকতা আমরা লক্ষ্য করেছি। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের সময় আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলি গ্রাহকের কাছ থেকে অনৈতিক জামানত চার্জ বাবদ ২ হাজার টাকা, রাউটার ক্রয় বাবদ ১,৫০০ টাকা, অগ্রিম বিল বাবদ সরকারের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন চার্জ ৫০০ টাকা আদায় করছে। আবার জামানত (অফেরৎযোগ্য) ও অগ্রিম বিল আদায় করার কারণে কোন গ্রাহক যখন অভিযোগ দায়ের করে তখন অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকের সংগে অসৌজন্যমূলক আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জামানতের অর্থ এবং অগ্রিম বিল ফেরত না দিয়ে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা অহরহ ঘটছে। তাছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবৈধ সেবাদানকারী এবং স্থানীয় পেশিশক্তির কারণে গ্রাহকরা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংগে পেরে ওঠে না। আমরা মনে করি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ না করলে সরকারের লক্ষ্য এবং ‘রোল আউট অবলিগেশন’ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।

ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন ২০ জানুয়ারি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী দেশের দেশব্যাপী অবৈধ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান। স্থানীয় পর্যায়ে পেশিশক্তি, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়েও নজর রাখার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, লাইসেন্স নবায়নের সময় তাদের পরিধি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হয়। পূর্বের ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানলে আমাদের গাইডলাইন কতোটুকু পালিত হয়েছে তা বোঝা যায়। ফলে তারা ‘রোল আউট অবলিগেশন’ অনুসরণ করছে কি না সেটা বোঝা যায়। যদি ঠিকভাবে গ্রহণ না করা হয় তাহলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।

বিভি/এসআই/এসডি

মন্তব্য করুন: