• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল রিচার্জে বছরে ৩২৪ কোটি টাকা অনৈতিক অর্থ আদায় 

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ২ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
মোবাইল রিচার্জে বছরে ৩২৪ কোটি টাকা অনৈতিক অর্থ আদায় 

মুঠোফোন রিচার্জে রিটেইলাররা গ্রাহকের কাছ থেকে দীর্ঘদিন থেকে মোবাইল রিচার্জ বা কার্ড বিক্রির সময় অতিরিক্ত এক থেকে দুই টাকা অনৈতিকভাবে আদায় করে যাচ্ছে। এ ধরনের অর্থ গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া নৈতিকতা বিরোধী বলছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। 

শনিবার (২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত রিটেলারদের খুচরা না থাকা এবং জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় এর প্রতিবাদ করে আসছিলাম। কিন্তু দিনদিন তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আগে এক টাকা নিলেও এখন কোন কোন গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত দুই টাকা ও নিচ্ছে। 

বিবৃতিতে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে এই মুহূর্তে মোবাইল রিচার্জ এর জন্য রিটেলার রয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ। গড়ে একজন রিটেলার দৈনিক প্রায় দুই থেকে তিন হাজার টাকা বিভিন্ন প্যাকেজ ও আই-টপ আপ এর মাধ্যমে খুচরা পর্যায়ে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন গ্রাহকের মাধ্যমে রিচার্জ করে থাকে। ধরে নেয়া যাক , প্রতিবার রিচার্জ এর সময় একজন গ্রাহক ৩০ টাকা রিচার্জ করতে দিলেন, রিটেলার তাকে লোড দিবে ২৯ টাকা। 

এভাবে যদি আদায় করে তাহলে দৈনিক সবগুলো রিটেলার ন্যূনতম নয় লাখ টাকা অনৈতিক আদায় করে থাকে। যা মাসে গিয়ে দাঁড়ায় ২৭ কোটিতে ,বছরে দাঁড়ায় ৩২৪ কোটি টাকা প্রায়। 
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা সহ সারাদেশে কর্মীদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায় ২’শ রিটেলার এবং ২’শ গ্রাহকের কাছে জানতে চাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায় রিটেলারদের দাবি কোম্পানি থেকে কম কমিশন পাওয়া, বর্তমানে বেশিরভাগ গ্রাহক মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে রিচার্জ করা, কোম্পানির অ্যাপস এর মাধ্যমে রিচার্জ করার কারনে আগের চাইতে ব্যবসা এখন অনেক কম হয়। তাছাড়া ভাংতি না থাকাও অন্যতম অজুহাত।

গ্রাহকদের বক্তব্য হচ্ছে ভাংতি টাকা না থাকা এবং জোরপূর্বক রিটেলারদের আদায় করার জন্য অনেকদিন যাবত বহু ঝগড়া বিবাদ হয়েছে এখন আর করি না। আর কোম্পানিগুলি এমন প্যাকেজ দেয় সবগুলি বিজোড় সংখ্যা আর এই সুযোগটা নিচ্ছে রিটেলাররা।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে  মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য হচ্ছে, এ ধরনের অর্থ আদায় একটি আইন বিরোধী এবং অনৈতিক লেনদেন। এর বিরুদ্ধে কেবলমাত্র টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি), ও টেলিকম অপারেটররা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু তারা গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে। কেবলমাত্র ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার কারণে গ্রাহকরা সব দিক দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে। 

গ্রামীণফোন এস এমপির শর্ত অনুসারে ২০ টাকার নিচে রিচার্জ না করা শর্ত দিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকরা সমস্যায় পতিত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে রিটেলাররা এই ২০ টাকা রিচার্জ করার জন্য অতিরিক্ত দুই টাকা চাইতে পারে। তাই জনস্বার্থে এবং রাষ্ট্রের বিশাল অংকের অর্থ অপচয় এবং অনৈতিক লেনদেন বন্ধে সরকার এবং কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
(বিজ্ঞপ্তি)

বিভি/এসআই

মন্তব্য করুন: