প্রশিক্ষণ ও পূঁজি সহায়তা নিয়ে তরুণ-তরুণীদের পাশে থাকবে সরকার: পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে একজন তরুণ-তরুণীও বেকার থাকবে না, যদি তারা নিজেদের দক্ষ করে তুলতে পারে। দক্ষতার উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আইসিটি বিভাগ তরুণ-তরুণীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও পূজি সহায়তা নিয়ে পাশে থাকবে।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নাটোরের সিংড়ার গোল-ই- আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে ‘সিংড়া আইসিটি ফ্রিল্যান্সিং ক্যাম্প এবং চাকুরি উৎসব-২০২৩ এর সমাপনী দিনে ‘ প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও পূঁজি’ শীর্ষক এক আলোচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ও ক্যারিয়ার গড়ে তোলায় উদ্বুদ্ধ করতে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প, বাংলাদেশে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন (ডিইআইইডি) প্রকল্প এবং আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ শহর ও গ্রামের মধ্যে ,পুরুষ ও ধনীর মধ্যে,ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে দূরত্ব কমিয়েছে।পৃথিবীর বড় বড় কোম্পানিতে বাংলাদেশের তরুণ তরুণীরা ঘরে বসে কাজ করছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ঘোষণার বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারে দেশের তরুণরা। এজন্য প্রত্যেককে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নিজেদেরকে দক্ষ করে তুলতে হবে এবং প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থানের পথ বেছে নিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প থেকে ৩৮২ টি স্টাটআপ কে ১০লক্ষ টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। আমরা হার প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৪৩টি জেলায় ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করব।
পলক বলেন আইসিটি উপদেষ্টা  সজীব ওয়াজেদ জয় তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তি এ দুটি কে কাজে লাগিয়ে আইসিটি খাতে গত ১৪ বছরে ২০ লক্ষ তরুণ তরুণী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। সেই লক্ষ্যে শিক্ষিত তরুণদের ফ্রিল্যান্সিংসহ আইটি পেশা গ্রহণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব মোঃ শামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম,ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান, ডিইআইইডি প্রকল্প পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান, বাংলাদেশ কল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, গোল-ই- আফরোজ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেন।

সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানকে ৫ টি সেশনে ভাগ করা হয়। প্রথম সেশন ‘স্মার্ট ক্যারিয়ার ফর স্মার্ট সিংড়া’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, ওয়াহিদ শরীফ, উদ্ভাবক শিবলী সাদিক, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এর প্রশিক্ষক গৌরাঙ্গ কুমার মন্ডল, উই এর সদস্য আফসানা ইয়াসমিন। 

এরপর ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ডিজিটাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম,’ বাক্কোর মহাসচিব তৌহিদ হোসেন, ইকবাল বাহার জাহিদ এবং কোডার ট্রাস্ট বিডি এর আবাসিক প্রতিনিধি মো. আতাউল গনি ওসমানি এবং ‘আপ স্কিলিং ফ্রম অ্যানিহোয়ার’ শীর্ষক আলোচনায় পঞ্চগড়ের দয়াল চন্দ্র বর্মন ও নগদের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার সোলাইমান সুখন।

চাকুরি উৎসব-২০২৩ এ কোডার ট্রাস্ট, নকরেক আইটি, বিএফডিএসসহ ২৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এসব প্রতিষ্ঠান ৩৬৪১টি  চাকুরির আবেদন ও জীবন বৃত্তান্ত জমা পড়ে। জীবন বৃত্তান্ত পরীক্ষা করে অনেকের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।