ভারতে মুখোমুখি ইলন মাস্ক এবং মুকেশ আম্বানী

ছবি: সংগৃহীত
গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন ইলন মাস্ক। সেই বৈঠকের পরই তিনি ভারতে স্টারলিংক লঞ্চ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ইলন মাস্কের এই স্টারলিংক পৃথিবীকে প্রদক্ষিণকারী উপগ্রহ থেকে সমগ্র ভারতে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট দিতে পারবে।
দেশের প্রত্যন্ত কিছু গ্রাম যেখানে ইন্টারনেট পৌঁছনো একপ্রকার সম্ভব নয়, সেখানেই ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য ব্যাপক ভাবে কার্যকর হতে পারে স্টারলিঙ্ক। তবে ইলন মাস্কের সংস্থাটি চায় এই পরিষেবার জন্য ভারত সরকার তাদের জন্য একটি লাইসেন্স বরাদ্দ করুক।
সিগন্যাল বহন করছে এমন স্পেকট্রাম বা এয়ারওয়েভগুলি নিলামের জন্য কোম্পানি কোনও ভাবেই গুরুত্ব দেবে না। আর সংস্থার এমন সিদ্ধান্তের জন্য ইলন মাস্ক তাঁর পাশে টাটা, সুনীল মিত্তলের ফার্ম এবং অ্যামাজ়নকে পাশে পেয়েছেন। তাহলে বাধ সাধছে কোথায়?
ভারতে স্টারলিংকের অবাধ বিচরণে বাধ সাধছে মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর সংস্থা রিলায়েন্স জিও। সংবাদমাধ্যম পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, মুম্বইয়ের টেলিকম জায়ান্টটি দাবি করেছে স্যাটেলাইট পরিষেবা দিচ্ছে এমন বিদেশি সংস্থাগুলির ভারতে ভয়েস এবং ডেটা পরিষেবা দিতে প্রয়োজনীয় স্পেকট্রামের জন্য নিলাম প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
মূলত, সরকারি নিলামে কেনা এয়ারওয়েভ ব্যবহার করে প্রথাগত টেলিকম প্লেয়ারদের মতোই একই পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশি এবং বিদেশি দুই কোম্পানির জন্যই স্পেকট্রাম পাওয়ার প্রক্রিয়া একই হওয়া উচিত।
স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম ব্যাটল অ্যাহেড শীর্ষক রিপোর্টে ব্রোকারেজ সিএলএসএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, “ভারতের মহাকাশ ভিত্তিক কমিউনিকেশন পরিষেবার ক্ষেত্রে স্পেকট্রামের সিদ্ধান্তই হল মূল। ২০১০ সাল থেকেই মোবাইল স্পেকট্রাম নিলাম করা হচ্ছে এবং সরকারের ৭৭ বিলিয়ন বিক্রি হয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান।”
সরকারও কিন্তু স্পেকট্রাম নিলামের পথেই হাঁটতে চায়। সরকারের একটি সূত্র থেকে বলা হয়েছে, স্পেকট্রাম নিলামই হল সবথেকে ভাল পথ, যা বিদেশি সংস্থাগুলির দেশে বিনিয়োগের পথ উন্মুক্ত করবে।
স্টারলিংক এর প্রস্তাবে রিলায়েন্স জিও’র আপত্তি কোথায়?
রিলায়েন্স জিও’র দাবি, স্যাটেলাইট অপারেটররা পৃথিবী থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা দিচ্ছে এমন কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য আলাদা নেটওয়ার্কের পরিকল্পনা করছে। সে ক্ষেত্রে স্পেস-বেসড কমিউনিকেশন সার্ভিস বা এসএস নিলাম করাই একমাত্র কার্যকর কৌশল তাদের কাছে।
মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থার এমন দাবিকে সমর্থন করছে ভোডাফোন আইডিয়া। তারা রেগুলেটরের কাছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে অকশনের অনুরোধ করেছে। অন্য দিকে ভারতী এয়ারটেল বিশ্বাস করে যে, এসএস স্পেকট্রাম নিলাম আখেরে প্রতিযোগিতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
সুত্র: টিভি৯ বাংলা
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: