নাগোরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের সামরিক অভিযান
ছবি: সানডিয়াগো ইউনিয়ন ট্রিবিউন
আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতিগত আর্মেনীয় ছিটমহল নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে কয়েক মাস ধরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ককেশাস অঞ্চলের দেশ আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান শুরু করেছে আজারি সৈন্যরা।
সম্প্রতি বিতর্কিত ওই ভূখণ্ডে মাইন বিস্ফোরণ ও অন্য এক ঘটনায় আজারবাইজানের ১১ পুলিশ সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে বিবাদে লিপ্ত রয়েছে। নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখণ্ডের ভেতরে অবস্থিত হলেও ১৯৯৪ সালের এক যুদ্ধের পর থেকে আর্মেনিয়ার সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনী ওই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
ইতিমধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া অন্তত দুবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথমবার যুদ্ধে জড়ায় দেশ দুটি। সাবেক সোভিয়েত এ দুই রাষ্ট্র বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ২০২০ সালে ফের প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। দুই দেশের সৈন্যদের হামলা-পাল্টা হামলায় সেই যুদ্ধে উভয়পক্ষের সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
যুদ্ধের পর আর্মেনিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া নাগোরনো-কারাবাখে কয়েক হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েন করে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে শান্তিরক্ষীদের পরে প্রত্যাহার করে নেয় মস্কো।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে লাচিন করিডোর নামে পরিচিত নাগোরনো-কারাবাখ ছিটমহলে প্রবেশের একমাত্র পথ অবরোধ করে রেখেছে আজারবাইজান। মঙ্গলবার বাকুতে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আর্মেনিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে আজারি সৈন্যদের অবস্থান লক্ষ্য করে ‘পরিকল্পিত গোলাবর্ষণের’ অভিযোগ করেছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, আমাদের ভূখণ্ড থেকে আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে নিরস্ত্রকরণ ও নিরাপদ প্রত্যাহারের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: