• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পরিবর্তনের জোয়ারে সৌদি আরব, কী চান সালমান? (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ২৯ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১৪:৫৯, ২৯ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ

সৌদি আরবের পতাকা নিয়ে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন এক সুন্দরী রমনী। পর্দা সরিয়ে শারীরিক সৌন্দর্য প্রদর্শনের মঞ্চে অবশেষে নাম লেখালো মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ সৌদি আরব।

মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী রুমি আলকাহতানি।  অনলাইন এই ইনফ্লুয়েন্সারের ইনস্টাগ্রামে আছে ১০ লাখ ফলোয়ার। আরবিতে লেখা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আলকাহতানি বলেছেন, 'মিস ইউনিভার্স-২০২৪ প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আর এর মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ এই প্রতিযোগিতায় সৌদি আরব প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছে।’

যে দেশে শুধু চোখ ছাড়া মেয়েদের শরীরের সমস্ত অংশ আবৃত রাখা বাধ্যতামূলক, সে দেশেই কিনা একটি মেয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।  শুধু সুন্দরী প্রতিযোগিতা নয়, নানা ক্ষেত্রে চিরাচরিত প্রথা ভেঙে নতুন ভাবে নিজেদের চেনাচ্ছে সৌদি আরব। 

নিওম নামে ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটারের একটা শহর গড়ে উঠছে সৌদি আরবে। সামাজিক বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত এই শহরে থাকবে আধুনিকতার সরঞ্জামে ঠাঁসা। নিওমের প্রোমোশনাল এক ভিডিওতে দেখা যায় হিজাববিহীন মেয়েরা স্পোর্টস ব্রা পরে শরীরচর্চা করছে, অংশ নিচ্ছেন পুরুষদের সঙ্গে সব রকম ট্রেনিংয়ে। এছাড়াও ৫০টি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে লোহিত সাগরের তীরবর্তী সৌদির পশ্চিম উপকূলে ২৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে উঠছে এক পর্যটনকেন্দ্র। বিমানবন্দর, বিলাসবহুল রিসোর্ট ও প্রবাল প্রাচীরে ঘেরা পর্যটনকেন্দ্রে থাকবে না কোনও নিষেধের বেড়াজাল। এমনকি সৌদি- মেয়েদের জন্য থাকছে না কোনো নির্দিষ্ট পোশাক বিধিও।   

সৌদি নারীদের বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য যেসব পরিবর্তন এসেছে- পরিবারের পুরুষ সদস্য ছাড়া বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি মিলেছে সেখানকার নারীদের, নির্বাচনেও লড়তে পারবেন এখন সৌদি নারীরা, পারবেন স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখতে, সেনাবাহিনীতেও যোগ দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন সৌদি নারীরা। শুধু তাই নয় সৌদি নারীরা সাইকেল র্যালিতেও অংশ নিয়েছেন। এরই মধ্যে সৌদি প্রো-লিগকে করে তোলা হচ্ছে আরও জাঁকজমক। চলছে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে তোরজোড়ও। তাই বোঝা যাচ্ছে সৌদি পর্যটন ও অর্থনীতিকে বড় করতে এখন যে কোনো কিছু করতে রাজি সৌদি সরকার।

ধর্মীয় রীতিনীতি ও সামাজিক সংস্কারের এসব উদ্যোগ সৌদি প্রিন্সের ‘ভিশন ২০৩০’ এর অংশ। আর এসব সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তেল-নির্ভর অর্থনীতির দেশ সৌদিকে আধুনিক ও উদারবাদী করে গড়ে তুলতে চান মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে এসব উদ্যোগকে কতোটা সমর্থন দেবে দেশটির সাধারণ জনগণ সেটিই এখন দেখার বিষয়।

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন: