• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

যেভাবে ইরানের হামলার জবাব দিতে পারে ইসরায়েল

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

ফন্ট সাইজ
যেভাবে ইরানের হামলার জবাব দিতে পারে ইসরায়েল

প্রতিশোধের আগুনে এখন মরিয়া হয়ে আছে ইসরায়েল।দেশটিতে ইরানের হামলার পর নিজেদের শক্তিমত্তা দিয়ে ইরানকে জবাব দেওয়ার অপেক্ষায় আছে তারা। কিন্তু এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে তারা কিভাবে সেটি করবে?

ইরানের রাতভর হামলার সমুচিত জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায়, তাতে পরিস্থিতি অনেক গুরুতর হয়ে উঠবে। কিন্তু কীভাবে ইসরায়েল সেই জবাব দিতে পারে? ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এবং যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা হয়তো সেই বিষয়টি নিয়েই এখন আলোচনা করছে।

ইসরায়েল যদি পাল্টা পদক্ষেপ নিতেই চায়, তাহলে যেসব ঘাঁটি থেকে ইরান হামলা চালিয়েছে, সেখানে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে তারা। অথবা আরও বড় পরিসরে কিছু করতে চাইলে তারা ইরানের শক্তিশালী রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)র বিভিন্ন ঘাঁটি, প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও কমান্ড সেন্টারে হামলা করতে পারে। তবে এতে ইরানের পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়ারও ঝুঁকি বাড়বে।

এখন পর্যন্ত ইরানের হামলার জবাবে পাল্টা কোনো হামলা চালায়নি ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বেনি গানজ বলেছেন, যখন উপযুক্ত সময় আসবে তখন ইরানের ওপর প্রতিশোধ নেবেন তারা। বেনি গানজ বলেছেন, ‘আমরা একটি আঞ্চলিক জোট গঠন করবো এবং যখন আমাদের জন্য উপযুক্ত সময় আসবে তখন আমরা ইরানের উপর প্রতিশোধ নেবো।’  তবে এরই মধ্যে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ কুয়েত ও কাতার। দেশ দুটিতে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি এবং আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে তারা।

ইসরায়েল যেন কোনো পাল্টা হামলা না চালায় সেজন্য কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইরান।  ইরানের সামরিক বাহিনীর চীফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, ইসরায়েল পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করলে রাতভর বোমাবর্ষণের চেয়েও বড় কিছু হবে ইরানের প্রতিক্রিয়া। পাশাপাশি ইসরায়েলের প্রধান মিত্র দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও নাক গলাতে নিষেধ করেছে ইরান। উপসাগরীয় অঞ্চলে ছয়টি আরব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনা রয়েছে। মার্কিন সেনারা সিরিয়া, ইরাক ও জর্ডানে অবস্থান করছেন। আর চলমান পরিস্থিতির অবনতি হলে এসব দেশে মার্কিন বাহিনী ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানা হতে পারে।

পাল্টা হামলার শিকার হলে ইরান আরেকটি পদক্ষেপও নিতে পারে। এর হুমকি অবশ্য তারা বহু আগে থেকেই দিয়ে আসছে। সেটি হলো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালি বন্ধের চেষ্টা করা। এ জন্য তারা মাইন ও ড্রোন ব্যবহার করতে পারে। আর এতে বাধার মুখে পড়তে পারে বিশ্বের এক–চতুর্থাংশ জ্বালানি তেল পরিবহন।

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2