রাশিয়ার গভীরে ইউক্রেন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে উত্তেজনা বাড়বে: যুক্তরাষ্ট্র
দূরপাল্লার পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার গভীরে হামলা চালানোর অনুমোদন পেতে দেনদরবার চালাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যেলেন্সকি। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নেতা ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একের পর এক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বুধবার কিয়েভে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেইট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও যুক্তরাজ্যের ফরেন সেক্রেটারি ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠক করেন যেলেন্সকি। বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিনকেন বলেন, পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার বিষয়ে কিয়েভের প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিয়েভকে এ অনুমোদন দেয়া হলে চলমান যুদ্ধ ঘিরে উত্তেজনা আরো বাড়বে বলে গভীর শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
তবে এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত করা হবে এবং ইউক্রেনের অবস্থান ব্যাখ্যা করা হবে বলে জানান ব্লিনকেন। পুরো বিষয়টি বিবেচনাধীন বলে জানান তিনি।
এর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ দাবি করেন, সম্ভবত এরই মাঝে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলার অনুমোদন দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে রাশিয়ার কার্স্ক প্রদেশে ইউক্রেনীয় সেনাদের অনুপ্রবেশ ও হামলা চালিয়ে যাওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এরই মাঝে জোরালো হামলা চালিয়ে তাদের অগ্রগতি রুখে দেয়ার কথা জানাচ্ছে রাশিয়া। হামলায় কার্স্কে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার দুইশ’রও বেশি ইউক্রেনীয় সেনার প্রাণহানির দাবি জানিয়েছেন রুশ সশস্ত্র বাহিনীর মেইন মিলিটারি পলিটিক্যাল ডিপার্টমেন্টের উপ-প্রধান মেজর জেনারেল আপ্তি আলাউদিনভ। কার্স্কের সুঝা অঞ্চলেই ইউক্রেন ৭ হাজারের বেশি সেনা হারিয়েছে বলে জানান তিনি।
বিভি/এইচজে
মন্তব্য করুন: