বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ানোয় উৎসাহী ভারত

ছবি: এআই
সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ট্রাম্প প্রশাসনকে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানাবেন বলে বার্তা দিয়েছেন ভারতীয়-আমেরিকান নেতা ভারত বরাই। এসময় তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া বিবৃতির প্রতি ইঙ্গিত দেন। বরাইয়ের মতে, বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি। তবে, যদি এমন হয়, তাহলে ভবিষ্যতে নতুনভাবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে।
এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ওঠে, কেন ভারত এত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে, যেখানে তাদের নিজেদের দেশের অবস্থা এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও বেশি জটিল? বিশেষ করে, ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে মুসলিম-বিরোধী নীতির কারণে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। বাংলাদেশে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের সময় রিয়া গোপ হাসিনার প্রশাসনের গুলিতে নিহত হলে, ভারত সেসময় নীরব থাকে। তাহলে, ভারতের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ কী? বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন কি-না?
ওদিকে, ভারতীয় মিডিয়াও সম্প্রতি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ নিয়ে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। সঠিক কী মিথ্যা তা সকলেরই জানা। এই মিডিয়াগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা অতিরিক্তভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে বলে অনেকেরই নজরে এসেছে, যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টা বলেও মনে হয়।
এটি স্পষ্ট যে, এসব পদক্ষেপ মূলত ভারতের নিজস্ব স্বার্থে নেওয়া হয়েছে। ভারত কখনোই বাংলাদেশকে একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখেনি বলেও অনেকের ধারণা। এছাড়া, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি ভারতের জন্য একটি 'ধ্রুবক অস্থিরতা' হিসেবেও বিবেচিত হয়ে এসেছে। ভারতীয় চাপ ও সমালোচনার কারণে বাংলাদেশ সংকটে পড়বে কি-না, তা সময়ই বলবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অটুট। ফলে, যদি ভারত নানা ইস্যু তুলে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে, তাহলে ভারতের নিজস্ব সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির ওপরও প্রশ্ন উঠতে পারে।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: