• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

চীনের সাথে ৩৭০ কোটি ডলারের চুক্তি শ্রীলংকার, চিন্তায় ভারত (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৪:১৪, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

ফন্ট সাইজ

কথায় আছে, ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়। কিন্তু চীনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হওয়া দেশ শ্রীলংকার হয়তো একবারে শিক্ষা হয়নি। চীনা ঋণ নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই এবার চীনের সাথে ৩৭০ কোটি ডলারের চুক্তি করলো দিসানায়েকের সরকার।

সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ১৫টির ও বেশি চুক্তি করেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে। চুক্তিগুলোর অন্যতম লক্ষ্য চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআই প্রকল্পগুলিকে এগিয়ে নেয়া। এছাড়াও রয়েছে মুদ্রা বিনিময়, বাণিজ্য, কৃষি, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং জলবায়ু সংক্রান্ত চুক্তি। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছে শ্রীলংকার হাম্বানটোটায় একটি তেল শোধনাগার স্থাপনের জন্য চীনা কোম্পানি সিনোপেকের সাথে ৩.৭ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি। 

হাম্বানটোটায় একটি তেল শোধনাগার নির্মাণের চুক্তি বছরের পর বছর ধরে আলোচনায় থাকলেও, এই প্রথমবারের মতো বেইজিং আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রীলংকার সাথে চুক্তিটি নিশ্চিত করেছে। বলা হচ্ছে এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার মাটিতে এটাই সবথেকে বড় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ। যদিও এই হাম্বামটোটা বন্দরের চীনা ঋণের ফাঁদে পড়েই দুঃসহ এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলো শ্রীলংকা।  

শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের মিডিয়া শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই 'অত্যাধুনিক' তৈল শোধনাগারটির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২,০০,০০০ ব্যারেল এবং এই উৎপাদনের 'একটা বড় অংশ'ই রফতানি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গেছে, শ্রীলংকার মাটিতে প্রায় ৫০০ একর জায়গা নিয়ে এই প্রকল্প গড়ে তুলবে চীন। 

ভারত দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ এশিয়াকে তার প্রভাবের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। ফলে এই অঞ্চলে চীনা শক্তির এমন উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই ভারতের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সালে কলম্বোর পক্ষ থেকে হাম্বানটোটা বন্দরটি বেজিংয়ের সরকারি মালিকানাধীন সংস্থার কাছে ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু, পরবর্তীতে শ্রীলংকার পক্ষে যখন ঋণ শোধ করা অসম্ভব হয়ে ওঠে, তখনই এ নিয়ে চিন্তা বাড়তে থাকে নয়া দিল্লির। কারণ, এক্ষেত্রে চীন যদি সামরিক কারণে বন্দরটি ব্যবহার করতে শুরু করে তাহলে সেটি ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে। 

এর আগে শ্রীলংকার জলভাগে 'গবেষণার কাজে' জাহাজ নোঙর করতে চেয়েছিল চীন। তবে ভারতের অভিযোগ ছিলো গবেষণার নামে গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে পারে চীন। পরবর্তীতে সমালোচনার জেরে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে পরবর্তী এক বছরের জন্য গবেষণা জাহাজের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করে শ্রীলংকা। যদিও তার দুমাস পরেই জার্মান গবেষণা জাহাজকে নোঙ্গর করার অনুমতি দেয় দ্বীপরাষ্ট্রটি। ফলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিত বিবেচনায় চীনের সাথে শ্রীলংকার এমন ঘনিষ্ঠতা নয়াদিল্লির দুশ্চিন্তাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। 

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2