• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

ফরাসি ও ডাচ যুদ্ধবিমান পেল ইউক্রেন

প্রকাশিত: ১১:০২, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ফরাসি ও ডাচ যুদ্ধবিমান পেল ইউক্রেন

ছবি: ডয়চে ভেলে

ফরাসি যুদ্ধবিমান মিরাজ পৌঁছেছে ইউক্রেনে। আগেই এই যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, নেদারল্যান্ডস থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। ফ্রান্স থেকে এসেছে মিরাজ ২০০০-৫ যুদ্ধবিমান।

জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমাদের বিমান বাহিনী ফ্রান্সের যুদ্ধবিমান পেয়েছে। আমি এর জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি কথা রেখেছেন।’

ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর অফিসারদের ফ্রান্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কীভাবে মিরাজ যুদ্ধবিমান চালাতে হয়, তা শেখানো হয়েছে। এদিন ইউক্রেনের ফাইটার পাইলটরাই ফ্রান্স থেকে ইউক্রেনে এই বিমানগুলি নিয়ে গেছেন।

২০২৪ সালের জুন মাসে মাক্রোঁ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনকে মিরাজ যুদ্ধবিমান দেওয়া হবে। কিন্তু কতগুলি দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে ফরাসি পার্লামেন্টের সূত্র জানিয়েছে, পার্লামেন্টের বাজেট অনুযায়ী ইউক্রেনকে ছয়টি মিরাজ বিমান পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। যদিও ফরাসি কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, নেদারল্যান্ডস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও এসে পৌঁছেছে। খুব দ্রুত এই বিমান রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

নেদারল্যান্ডস ছাড়াও আরো বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ ইউক্রেনকে জানিয়েছিল, অ্যামেরিকার তৈরি এফ-১৬ বিমান তারা জেলেনেস্কিকে দেবে। এরমধ্যে নরওয়ে-ও আছে। কিন্তু ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

কুরস্কে ইউক্রেনের আক্রমণ

রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে কুরস্ক অবস্থিত। যার কিছু অংশ এখন ইউক্রেনের দখলে। বৃহস্পতিবার রাশিয়া জানিয়েছে, সেখানে ইউক্রেনের নতুন আক্রমণ তারা প্রতিহত করেছে। গত অগাস্ট মাস থেকে ইউক্রেন কুরস্ক আক্রমণ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে তারা প্রায় এক হাজার বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। ওই এলাকায় এরপর রাশিয়ার সঙ্গে একের পর এক সংঘর্ষ হয়েছে ইউক্রেনের। এদিনের আক্রমণ নিয়ে রাশিয়া মুখ খুললেও ইউক্রেন এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কুরস্ক ইউক্রেনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ইউক্রেন রাশিয়ার জমি দখল করে রেখেছে। ফলে ভবিষ্যতে আলোচনার সময় এই জায়গাটির বিনিময়ে নিজেদের হারানো জমি নিয়ে তারা দরাদরি করতে পারবে।
 

বিভি/এসজি

মন্তব্য করুন: