রাশিয়া থেকে মুক্তি পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষক

ছবি: ডয়চে ভেলে
রাশিয়ায় বেড়াতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মার্ক ফগেল। তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক স্টিভ উইটকফ রাশিয়ায় গিয়েছিলেন মার্ক ফগেলের মুক্তি নিয়ে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, স্টিভের সফর সফল হয়েছে। বহু আলোচনার পর রাশিয়া মার্ককে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে।
২০২১ সালে রাশিয়ার বিমানবন্দরে বন্দি হয়েছিলেন মার্ক ফগেল। পেনসিলভেনিয়ার এই নাগরিকের কাছে গাঁজা পাওয়া গিয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও মার্ক ও তার পরিবারের দাবি ছিল, মার্কের কাছে যে গাঁজা পাওয়া গেছে তা চিকিৎসকের দেওয়া প্রেসক্রিপশনে লেখা ছিল। কিন্তু রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ তা মানতে চায়নি। তাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকে রাশিয়ার জেলে বন্দি ছিলেন মার্ক।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, স্টিভ উইটকফের ঐকান্তিক চেষ্টায় এই কাজ সফল হয়েছে। রাশিয়া সদর্থক সংকেত দিয়েছে। এবার ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ক্ষেত্রেও রাশিয়া একইরকম সদর্থক অবস্থান নেবে বলে আমরা আশাবাদী।
উইকফের সঙ্গেই দেশে ফিরছেন ফগেল। বুধবারই (১২ ফেব্রুয়ারি) তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে।
খবর শোনার পরেই উৎসব শুরু করেছে ফগেলের পরিবার। তারা মার্কিন প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাদের বক্তব্য, গত কয়েকবছর কার্যত অন্ধকারের মধ্যে কেটেছে। এতদিনে আমরা একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। প্রশাসনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
২০২১ সালের অগাস্ট মাসে মস্কোর একটি বিমানবন্দরে ফগেলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে ১৭ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছিল। ২০২২ সালের জুন মাসে ফগেলকে দোষী সাব্যস্ত করে রাশিয়ার আদালত। মাদক রাখার অপরাধে তাকে ১৪ বছর কারাবাসের শাস্তি শোনানো হয়।
তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র তাকে মুক্ত করার চেষ্টা করছে। অবশেষে তা সফল হলো। তবে এর বদলে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার কোনো নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: