• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

মুসলিম বিশ্ব কি শুধু উদ্বেগই প্রকাশ করে যাবে?

গাজায় চলছে গণহত্যা, সৌদিতে চলছে ঈদের জমকালো প্রস্তুতি (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ২১ মার্চ ২০২৫

ফন্ট সাইজ

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নজিরবিহীন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব। দেশব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের অংশ হিসেবে কনসার্ট, নাট্য পরিবেশনা ও নানা বিনোদনমূলক কার্যক্রমের আয়োজন করতে যাচ্ছে দেশটির জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটি। ঈদের রাতকে আরও রঙিন করে তুলতে দেশটির প্রধান শহরগুলোতে প্রদর্শন করা হবে জমকালো আতশবাজি। শুধু সৌদি নয়, বর্ণিল আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েতসহ মধ্যপ্র্যাচ্যের ধনী দেশগুলো।

সৌদি আরব থেকে ৮১৮ মাইলের দূরত্বে আরেক মুসলিম জনপদ গাজা। তবে ক্ষমতাধর মুসলিম দেশগুলোর আচরণ দেখলে হয়ত মনে হবে, এই অঞ্চলটি পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন। যেখানে মনুষ্যত্বের কোন স্থান নেই। গত দুই দিনেই ইসরাইলি বর্বরতায় প্রাণ গেছে গাজার দুই শতাধিক শিশুর। এমন পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে প্রভাবশালী মুসলিম দেশগুলোতে এখন চলছে ঈদ আয়োজনের প্রস্তুতি। দায়সারা বিবৃতিতেই যেনো সীমাবদ্ধ তাদের প্রতিবাদ। প্রশ্ন হলো, গাজায় গণহত্যা ইস্যুতে মুসলিম বিশ্ব কি শুধু উদ্বেগই প্রকাশ করে যাবে?

মঙ্গলবার ভোরে ইসরাইল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে। ঘুমন্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের ওপর বোমাবর্ষণ করে আবারও সৃষ্টি করে নারকীয় এক পরিস্থিতি। বাস্তুচ্যুত মানুষের তাঁবু এবং বাড়িঘরে নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ’ মানুষ। এর মধ্য দিয়ে পুনরায় শুরু হয়েছে ইসরাইলের গণহত্যা। তবে এ নিয়ে পশ্চিমারা যেমন চুপ, তেমনি মুখে কুলুপ মুসলিম বিশ্বেরও। 

সন্ত্রাসবাদ আর মানবতার সবক দেয়া পশ্চিমারা গাজা ইস্যুতে যেন ‘অন্ধের ভূমিকা’ পালন করছে। ইসরাইলকে থামানোর চেষ্টা তো দূরে থাক, উল্টো তাদের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। 

অনেকেই মনে করেন মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ফিরে আসলে হয়ত বন্ধ হবে এই বর্বরতা। তবে বাস্তবতা হলো, ঐক্য তো নয়ই বরং আরও বাড়ছে অভ্যন্তরীণ বিভাজন। এরই মধ্যে খবর এসেছে, গাজা পুণর্গঠনে মিশরের প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে আমিরাত। ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছে আমিরাত। মিশরের প্রস্তাব যেন কার্যকর না হয় সেজন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে আমিরাতের কর্মকর্তারা। ফলে কার্যত ব্যর্থতার দিকেই আগাচ্ছে গাজা পুণর্গঠন নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর প্রচেষ্টা।

ইসরাইল বিশ্ববাসীকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো, চুক্তি লঙ্ঘন করলে আসলে কিছুই হয় না। ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যেই গাজায় হামলা আবার শুরু করার জন্য ইসরাইলকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গাজায় আবার যুদ্ধ শুরুর দায়ভার পুরোপুরি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের ওপর চাপিয়েছেন। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ইসরাইলকে কে থামাবে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। 
 

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন: