ঝিলম নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি, উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন হাজারো মানুষ

ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের মুজাফ্ফরাবাদে ঝিলম নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় হাজারো মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ভারত স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ায় ও সিন্ধু পানিচুক্তির আওতায় বন্যা সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান স্থগিত থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
নদীর তীরে বসবাসরত ৭২ বছর বয়সী রফিক হুসেইন রয়টার্সকে জানান, ভারত হঠাৎ পানি ছাড়ার পর নদীর পানি ৮ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত বেড়ে গেছে। রয়টার্সকে তিনি আরও বলেন, তারা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকেন। শুনছেন যেকোনো সময় আবারও পানি ছাড়া হতে পারে কোনও সতর্কতা ছাড়াই।
রফিকের মতে, তার এলাকার প্রায় ১ হাজার বাড়িতে বসবাসরত ১০ হাজারের বেশি মানুষ বর্তমানে সরাসরি বন্যার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তিনি ও তার পরিবার মাছ ধরা ও চাষাবাদের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। নদীতে পানি বাড়ার কারনে তার ছেলের মাছ ধরার জালও নদীতে ভেসে গেছে। ফলে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
রফিকের ছেলে হামিদ হুসেইন বলেন, গত সপ্তাহে নদীতে তিনি জাল বসিয়েছিলেন। দু’দিন পরই পানি আচমকা বেড়ে যায়। ফিরে এসে দেখেন সব জালই ভেসে গেছে।
এদিকে, ভারত এখন পানির উপর সার্বভৌম অধিকার দাবি করছে। অন্যদিকে, আজাদ কাশ্মীরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজা মুহাম্মদ ফারুক হায়দার খান বলেন, সিন্ধু পানিচুক্তিটি ত্রিপক্ষীয়। শুধু ভারত-পাকিস্তান নয়, বিশ্বব্যাংকও এর অংশ। তাই একতরফাভাবে কেউ এটি বাতিল করতে পারে না।
এদিকে, সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা বেড়েই চলেছে। নদীর পাড়ে থাকা পরিবারগুলোর কাছে এটি এখন কেবল একটি চুক্তি নয়, এটি তাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন: