সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা
মধ্যপ্রাচ্য সফরে সিরিয়ার জন্য দারুণ সুখবর দিলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
সিরিয়ায় ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নানা নিষেধাজ্ঞা চলছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো সিরিয়ার অর্থনীতি, বাণিজ্য আর বৈদেশিক সম্পর্ক—সব কিছুকেই একরকম অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্য শুনে অনেকে ভাবছেন-তবে কি বদলে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের খেলা?
মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ সফরে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সফরেই, রিয়াদের এক বিনিয়োগ ফোরামে তিনি জানান—সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে মার্কিন প্রশাসন। ট্রাম্পের ভাষ্য, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তিনি।
সিরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপিত হয়েছিল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে, যার পতন ঘটে গত বছর। এখন সিরিয়ার নেতৃত্বে আছেন আহমেদ আল-শারা। নতুন এই সরকারের সাথে যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বুধবার সৌদিতে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-সারার সঙ্গে বৈঠক করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতোমধ্যে হোয়াইট হাউজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর সিরিয়াজুড়ে দেখা গেছে স্বস্তির ছাপ। সিরিয়ার দামেস্ক, আলেপ্পো, হোমস এবং লাটাকিয়া শহরের বাসিন্দারা হাসিমাখা মুখে বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। ছোট ছোট দলে লোকজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করেন। এ সময় আলেপ্পোর রাস্তায় তরুণ তরুণীদের রাস্তায় সিরিয়ার পতাকা হাতে নাচতে দেখা যায়। দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়ার অর্থনীতি, চিকিৎসা, শিক্ষাব্যবস্থা—সবকিছুই প্রায় ভেঙে পড়েছিল। ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন ঘোষণায় নতুন করে আশার আলো দেখছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
ট্রাম্পের এই ঘোষণা যেমন সিরিয়ার জন্য নতুন আশার বার্তা, তেমনি মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক সমীকরণেও বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত। তবে ইসরাইলের জন্য এটি হতে পারে কিছুটা উদ্বেগের বিষয়, কারণ আসাদের পতনের পর তারা সিরিয়ায় কিছু ভূখণ্ড দখলে অগ্রগতি অর্জন করেছে। সবমিলিয়ে, সামনের দিনগুলোতে সিরিয়া–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
বিভি/এমএফআর
মন্তব্য করুন: