• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

এবার এপস্টাইন ইস্যুতে মুখ খুললেন ট্রাম্প, বললেন বিশ্বাসযোগ্য ফাইল প্রকাশ হোক

প্রকাশিত: ১২:০৮, ১৬ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১২:৩৯, ১৬ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
এবার এপস্টাইন ইস্যুতে মুখ খুললেন ট্রাম্প, বললেন বিশ্বাসযোগ্য ফাইল প্রকাশ হোক

ছবি: সংগৃহীত

এবার যৌন পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত জ্যাফ্রি এপস্টাইনের মামলার বিশ্বাসযোগ্য নথি প্রকাশের পক্ষে মত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্যাফ্রি এপস্টাইনকে নিয়ে তদন্তে যেসব তথ্য নির্ভরযোগ্য বলে মনে হয় তা অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির জনসমক্ষে প্রকাশ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ডানপন্থী সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ও চাপ ক্রমেই বেড়ে উঠছিল। অনেকের ধারণা, এমন অবস্থায় সেই চাপ সামাল দিতেই একটি কৌশল হিসেবে এমন মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, বন্ডি এই বিষয়টি দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে তার নিজের। তিনি যা সঠিক এবং বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন, সেটাই তিনি প্রকাশ করতে পারেন।

তবে ট্রাম্প দাবি করেন, কথিত জ্যাফ্রি এপস্টাইন সম্পর্কিত ভিডিওগুলো আসলে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কমির সাজানো একটি মিথ্যা প্রচারণা। যদিও এসব ভিডিও বা তথ্য প্রথমে তারই প্রশাসনের সময় সামনে আনা হয়েছিল।

এদিকে জ্যাফ্রি এপস্টাইন সংক্রান্ত মামলার আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দাবি করেছেন ট্রাম্পের মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন অর্থাৎ মেগা সমর্থকদের একটি বড় অংশ।  ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রকাশের পক্ষে রয়েছেন। যদিও তিনি মন্তব্য করেন, এই অশ্লীল এবং একইসঙ্গে একঘেয়ে মামলাটি নিয়ে এখনো এত আগ্রহ কেন রয়েছে। তবে তিনি যোগ করেছেন, যদি কোনও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকে, তা প্রকাশ করা হোক। যেকোনো প্রাসঙ্গিক ও বিশ্বাসযোগ্য কিছু থাকলে, তা জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা উচিত। 

সম্প্রতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একটি স্মারকপত্র প্রকাশিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন অর্থাৎ মেগার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই স্মারকপত্রে বলা হয়, জ্যাফ্রি এপস্টাইন আত্মহত্যা করেছিলেন এবং তার কোনো ক্লায়েন্ট তালিকা ছিল বা তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করতেন, এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
 
২০১৯ সালে ম্যানহাটনের একটি কারাগারে যৌন পাচারের অভিযোগে আটক অবস্থায় জ্যাফ্রি এপস্টাইনের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুকে ঘিরে বহু রহস্য ও তর্ক-বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকের ধারণা, এটি আত্মহত্যা নয় বরং তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জ্যাফ্রি এপস্টাইন বহু বছর ধরে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন। ধারণা করা হয়, তিনি গোপন কোন সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যৌন কেলেঙ্কারির ফাঁদে ফেলে তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করতেন।

জ্যাফ্রি এপস্টাইনকে ঘিরে ছড়ানো ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্বগুলোর বেশিরভাগই মেগা সমর্থকদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়তা পায়। তারা বিশ্বাস করতেন, ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হলে, তিনি এপস্টাইনের অপরাধ এবং তার উচ্চপর্যায়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে থাকা সম্পর্কগুলোর পর্দা ফাঁস করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এবং এফবিআই যখন যৌথভাবে একটি বিবৃতি দিয়ে জ্যাফ্রি এপস্টাইন সংক্রান্ত জনপ্রিয় ষড়যন্ত্রমূলক ধারণাগুলোর সত্যতা অস্বীকার করে, তখন ট্রাম্পের মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন অর্থাৎ মেগার অনেক প্রভাবশালী সমর্থক অভিযোগ তুলেছেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে। তারা দাবি করেন, প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে একটি গোপন চক্রান্তে জড়িয়ে পড়েছে। এবং এভাবে এপস্টাইনের নিকটতম সহযোগী ও সম্ভবত স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে রক্ষা করা হবে।

এক পডকাস্টে ভাষ্যকার ম্যাট ওয়ালশ বলেন, তিনি ডানপন্থীদের, এমনকি প্রেসিডেন্টকেও স্পষ্ট করে বলতে চান, যারা তাদের বলছে অতীত ভুলে যেতে এবং সামনে এগিয়ে যেতে, তাদেরকে তিনি জানিয়ে দিতে চান যে, এই বিষয়টি তারা ভুলে যেতে পারেন না, এবং এভাবে এগিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

এদিকে ট্রাম্পের নিকটতম সহযোগী রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন বিষয়টি নিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবিতে বলিষ্ঠ এক কণ্ঠস্বর হিসেবে সামনে এসেছেন। ভাষ্যকার বেনি জনসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই বিষয়ে সমস্ত তথ্য উন্মুক্ত করা উচিত এবং জনগণকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, বন্ডির উচিত সামনে এসে বিষয়টি সবাইকে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা।

বিভি/আইজে

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2