ঐতিহাসিক কেনসিংটন চুক্তিতে স্বাক্ষর করলো ব্রিটেন-জার্মানি (ভিডিও)
ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কেনসিংটন চুক্তিতে স্বাক্ষর করলো ব্রিটেন ও জার্মানি। ১৭ জুলাই লন্ডন শহরে বিস্তৃত পরিসরের এই চুক্তিতে সাক্ষর করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে এমন উচ্চমাত্রার চুক্তি সাক্ষরিত হলো।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার হুমকিকে কেন্দ্র করে ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এই চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য। চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের সামরিক বাহিনী যৌথ প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি বিনিময় করবে এবং নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়া অবৈধ অভিবাসন দমনে সহযোগিতা এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতেও উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
দুটি ন্যাটো দেশ হিসেবে, ব্রিটেন ও জার্মানি ইতোমধ্যে ন্যাটোর ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অংশ হিসেবে একে অপরের প্রতি সামরিক সহায়তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এই চুক্তিটিকে একটি অতিরিক্ত গ্যারান্টি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে নাটোর পূর্ব ফ্ল্যাঙ্কে সামরিক প্রস্তুতি অনেক বেড়েছে। ব্রিটেন ও জার্মানি বুঝছে, রাশিয়া শুধু ইউক্রেন নয়, বাল্টিক অঞ্চল, পোল্যান্ড ও পূর্ব ইউরোপের জন্যও হুমকি হতে পারে। ফলে দুই দেশ সমন্বিত ভাবে পূর্ব ইউরোপের সুরক্ষায় যৌথ বাহিনী গঠন করছে তারা। দীর্ঘ-পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র ও নজরদারি প্রযুক্তিও তৈরি করছে তারা।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিউন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর ইউরোপে কিছুটা একঘরে হয়ে পড়েছে ব্রিটেন। ফলে জার্মানির মতো প্রধান ইউরোপীয় শক্তির সঙ্গে নতুন সামরিক-অর্থনৈতিক বন্ধুত্ব গড়ে ব্রিটেন নিজের প্রভাব ফিরিয়ে আনতে চাইছে।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে ট্রিনিটি হাউস এগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করেছিলেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি ও জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টরিয়াস। যেখানে দুই দেশের সমন্বয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলা, ন্যাটোর পূর্ব ফ্ল্যাঙ্ক সুরক্ষা ও দীর্ঘ-পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র নজরদারির উদ্যোগের বিষয়ে একমত হয়েছিলো দুই দেশ।
বিভি/এমএফআর
মন্তব্য করুন: