শুল্ক ছাড়ে ব্যর্থ ভারত, পোশাক খাতে পাকিস্তানের জয়রথ! (ভিডিও)
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম শুল্ক নিয়ে আলোচনার টেবিল থেকে ফিরে আসতে পেরেছে ইসলামাবাদ। ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত শুল্কের পরিমাণ যথাক্রমে ২৫, ২০ ও ৪০ শতাংশ। অপরদিকে, পাকিস্তানের পণ্য আমদানিতে শুল্কের পরিমাণ ২৯ শতাংশ থেকে কমে ১৯ শতাংশ হয়েছে।
অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন, পাকিস্তানকে আর্থিক দিক দিয়ে একঘরে করার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। কিন্তু তুলনামূলক কম শুল্ক আরোপ করায় পাকিস্তানে নেমে এসেছে স্বস্তির সুবাতাস। পাকিস্তানের পণ্যে আরোপিত শুল্ক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম হওয়াকেও স্থানীয় বাজার বিশ্লেষকরা ইতিবাচক বিষয় হিসেবে দেখছেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রপ্তানি ছিল ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। একই সময়ে আমদানি ছিল প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। শুল্ক হার কমায় যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সার্বিক রপ্তানিতে আরও গতির সঞ্চার হতে পারে।
পাকিস্তানের গার্মেন্টস পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এই খাতে দেশটি ভারত, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। দেশটির মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশই আসে এই খাত থেকে। সংশ্লিষ্টদের অনেকে মনে করছেন, পাকিস্তানের শুল্কহার কম থাকায় মার্কিন আমদানিকারকদের জন্য দেশটি সস্তা ও লাভজনক উৎস হয়ে উঠতে পারে।
শুল্কহার কমায় GAP ও Levi's এর মতো খ্যাতনামা মার্কিন ব্র্যান্ডগুলো সাশ্রয়ী উৎসের খোঁজে তাদের মনোযোগ চীন বা ভিয়েতনাম থেকে সরিয়ে পাকিস্তানে আনতে পারে। এছাড়া পাকিস্তানের পোশাক খাত বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের যোগান দিচ্ছে। শুল্ক কমার ফলে রপ্তানি অর্ডার বাড়লে নতুন শ্রমিক নিয়োগ ও কারখানা সম্প্রসারণ হতে পারে। যা পাকিস্তানের চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের একটি উপায় হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সাম্প্রতিক পরিবর্তন পাকিস্তানের গার্মেন্টস খাতকে মার্কিন বাজারে নিঃসন্দেহে বিশেষ সুবিধা এনে দেবে। তবে একই সাথে এই সুবিধা তাদের প্রতিযোগী দেশ— বাংলাদেশ, ভারত ও ভিয়েতনাম এর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
বিভি/এমএফআর
মন্তব্য করুন: