• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কাতারের পাশে ইসলামী জোট, স্পষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে এখনও বিস্তারিত ঘোষণা হয়নি

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৩:২৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
কাতারের পাশে ইসলামী জোট, স্পষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে এখনও বিস্তারিত ঘোষণা হয়নি

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত আরব ও ইসলামি জাতিগোষ্ঠীর জরুরি বৈঠকে ইসরাইলের নির্মম হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। তবে, এখনও সুনির্দিষ্ট প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দেয়নি অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে জিসিসি’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করার প্রতিশ্রুতি। এই ঘোষণাটি আসে জিসিসি’র অন্তর্ভুক্ত ৬টি দেশ— বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

সম্মেলনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানী বলেন, কাতারের রাজধানী ইসরাইলের কাপুরুষোচিত হামলার শিকার হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইসরাইল বহুবার লেবানন, সিরিয়া এবং ইয়েমেনে বোমা হামলা চালিয়েছে এবং সিরিয়ার জমি দখল করেছে। এছাড়াও, লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ইসরাইল অস্বীকৃতি জানিয়েছে। শেখ তামিম আরও বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু আরব এলাকায়  ইসরাইলি প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন।

এদিকে, সম্মেলনে আরব ও ইসলামি দেশগুলো কাতারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেও সামরিক বা কূটনৈতিক কোনো স্পষ্ট পদক্ষেপ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। জিসিসি জানিয়েছে, প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিষয়ে জোটের সামরিক সংগঠনগুলোর আলোচনা শুরু হয়েছে। শীঘ্রই দোহায় জোটের সম্মিলিত সামরিক কমান্ডের একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে, এমনটাই জানান কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ মোহাম্মদ আল-আনসারি। যদিও এই নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিস্তারিত তথ্য এখনও জানানো হয়নি, তবে এটি এমন একটি নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হতে পারে, যেখানে কোনো সদস্য দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ হলে সেটি পুরো জোটের বিরুদ্ধে হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে। সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইসরাইলের ওপর যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আনারও আহ্বান জানান জিসিসি’র মহাসচিব।

এছাড়া, আরব ও মুসলিম বিশ্বকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, আগের অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে এই ধরনের চাপ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।  

এছাড়া, ইসরাইলকে জাতিসংঘের সদস্যপদ থেকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। পাশাপাশি, তারা একটি আরব-ইসলামিক টাস্ক ফোর্স গঠনের দাবি উত্থাপন করেছে। এদিকে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ইসরাইলের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান।

দোহায় সম্মেলনটি চলাকালীন সময় ইসরাইল সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ওদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরাইল কাতারের ওপর আর কোনো আক্রমণ চালাবে না। এদিকে, মধ্যস্থতাকারীদের ওপর হামলা প্রমাণ করছে যে, গাজায় যুদ্ধ অবসানের প্রচেষ্টাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ করতে চায় ইসরাইল। ইসরাইলের সংঘাতে গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৪,৮০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
 
 

বিভি/আইজে

মন্তব্য করুন: