এবার ৪০০ ইরানিকে বহিষ্কার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

এবার যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৪০০ ইরানিকে বহিষ্কার করার পরিকল্পনা করছে। যাদের বেশিরভাগই অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী ব্যাপক অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা হোসেইন নৌশাবাদী আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থাকে জানান, প্রথম ধাপে, তারা ১২০ জন ইরানিকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যারা অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। যাদের বেশিরভাগই মেক্সিকো হয়ে এসেছিলেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমস অনুসারে, কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর এই বহিষ্কারের ঘটনা ঘটল।
এদিকে, নৌশাবাদী বলেন, মার্কিন সরকারের নতুন অভিবাসন-বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৪০০ ইরানিকে, যাদের বেশিরভাগই অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছে, তাদের বহিষ্কারের পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ১২০ জনের প্রথম দলটি আগামী এক বা দুই দিনের মধ্যে ইরানে পৌঁছাবে।
এদিকে, নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, সোমবার লুইসিয়ানা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি চার্টার্ড ফ্লাইট উড্ডয়ন করেছে এবং মঙ্গলবারের কোনো এক সময় কাতার হয়ে ইরানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরে আটক কেন্দ্রে থাকার পর অনেক ইরানি স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, আবার কেউ কেউ যাননি।
অন্যদিকে, নৌশাবাদী ওয়াশিংটনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইরানি অভিবাসীদের অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কয়েকজন (প্রত্যাবর্তনকারী) ব্যক্তির বসবাসের অনুমতি ছিল কিন্তু মার্কিন অভিবাসন অফিসের উল্লেখিত কারণের জন্য, তাদের ফেরত পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধের জবাবে হোয়াইট হাউস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
ট্রাম্প তার পূর্বসূরী ডেমোক্র্যাটিক জো বাইডেনের আমলে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনাকে উচ্চ মাত্রার বলে বর্ণনা করার পর, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী রেকর্ড সংখ্যক লোককে বহিষ্কার করার পরিকল্পনা করেন।
দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ফেব্রুয়ারিতে ইরানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ১১৯ জনকে পানামায় নির্বাসিত করে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: