যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার ঘোষণা দেওয়া হলে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। বুধবারের হামলায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রবিরতি পুনরায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েও নতুন করে গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় চালানো ওই হামলায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
যদিও ইসরাইল দাবি করেছে, তারা এমন একটি স্থানে হামলা চালিয়েছে যেখানে অস্ত্র মজুত ছিল এবং সেগুলো তাদের সেনাদের জন্য ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করেছিল। এই হামলা গাজার নাজুক অস্ত্রবিরতিকে নতুন করে অনিশ্চয়তায় ফেলেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ‘প্রতিশোধমূলক জোরালো হামলার’ নির্দেশ দেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ওই হামলায় ১০৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সর্বশেষ হামলা সত্ত্বেও অস্ত্রবিরতি ‘ঝুঁকির মুখে নেই’। যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এই হামলায় হতাশা প্রকাশ করলেও পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, গুতেরেস গাজার বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এই হামলায় বহু শিশুও নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার তুর্ক বলেন, এত বিপুল সংখ্যক হতাহতের খবর ‘ভয়াবহ’। শান্তি যেন ‘হাতছাড়া হতে না দেওয়া’ সে বিষয়ে সব পক্ষের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। একই আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: