মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সেনা মোতায়েন, নৃশংসতার আশঙ্কা জাতিসংঘের
ছবি: আলজাজিরা
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে ভারী অস্ত্রসহ হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ওই অঞ্চলে ব্যাপক হারে মানবাধিকার বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্ট উপস্থাপনকালে অ্যান্ড্রুজ বলেন, আমি তথ্য পেয়েছি দেশটির উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হাজার হাজার সেনা এবং ভারী অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। সামরিক সরকার মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের সংগে জড়িত থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এই দূত বলেন, আমাদের এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। মিয়ানমারের এই অংশের জনগণের ওপর ব্যাপক নৃশংস অপরাধ সংঘটিত হতে পারে। আমি আশা করছি, আমি যেন ভুল প্রমাণিত হই। এ ধরনের নৃশংসতা যেন না হয়।
আরও পড়ুন:
শ্রমিক-পর্যটকরা যেতে পারবেন মালয়েশিয়া
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী’র সংগে সেলফি তোলায় শাস্তির মুখে নারী পুলিশ!
গত ১ ফেব্রুয়ারি সু চি সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় বসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে সাধারণ মানুষের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে জান্তা সরকার। স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে মিয়ানমারে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আটক হয়েছেন আরও ৮ হাজারের বেশি মানুষ।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে পুলিশ চেকপোস্টে সহিংসতার পর বহুদিন ধরে চলতে থাকা রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে হত্যা, নারীদের ধর্ষণ এবং নিরীহ মানুষের বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে বহু মানুষ প্রাণ হারায়। এসময় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা।
সেসময় রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন, নিপীড়ন এবং হত্যার ঘটনাকে জাতিগত নিধন বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘ। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অর্থ, অস্ত্র এবং বৈধতা না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন অ্যান্ড্রুস।
বিভি/এসডি
মন্তব্য করুন: