বরফঢাকা অ্যান্টার্কটিকায় প্রথমবার নামলো উড়োজাহাজ
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পৃথিবীর সর্ব দক্ষিণের মহাদেশ বরফঢাকা অ্যান্টার্কটিকায় এয়ারবাস অবতরণের ঘটনা ঘটেছে। গত ২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে উড্ডয়নের পর এয়ারবাস এ৩৪০ বিমানটি অ্যান্টার্কটিকায় অবতরণ করে। ফ্লাইটটি পরিচালনা করে ‘হাই ফ্লাই’ নামে একটি বুটিক এভিয়েশন কোম্পানি।
কেপটাউন থেকে অ্যান্টার্কটিকা পর্যন্ত আড়াই হাজার নটিক্যাল মাইল যেতে বিমানটির সময় লাগে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মতো। পৌঁছানোর পর ক্রু’রা তিন ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন।
বিমানটির ক্রু’র নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন কার্লোস মিরপুরি। তিনি হাই ফ্লাই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট।
মিরপুরি বলেন, বরফে আলোর প্রতিফলনের কারণে অ্যান্টার্কটিকায় বিমান অবতরণ করানো বেশ কঠিন একটি কাজ। এই কাজ সফলভাবে করতে প্রয়োজন সঠিক চশমা ব্যবহার এবং সহকারি পাইলটের দক্ষতা।
ফ্লাইটটি পরিচালনায় বিনিয়োগ করেছিলো ‘ওলফ’স ফ্যাং’ নামে একটি অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প। ট্যুরিজম কোম্পানি হোয়াইট ডেজার্টের একটি নতুন প্রকল্প এই ‘ওলফ’স ফ্যাং’, যারা অ্যান্টার্কটিকায় পর্যটন নিয়ে কাজ করে। অ্যান্টার্কটিকা পৌঁছানোর পর বিমানটি ‘ওলফ’স ফ্যাং’-এর একটি নিজস্ব রানওয়েতে অবতরণ করে।
বিস্তীর্ণ সাদা বরফের কারণে ‘হোয়াইট কনটিনেন্ট’ নামে পরিচিত অ্যান্টার্কটিকা। সেখানে কোনো বিমানবন্দর না থাকলেও, ৫০টি ল্যান্ডিং স্ট্রিপ এবং রানওয়ে রয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষ জাহাজে করে অ্যান্টার্কটিকা যায় বলে সেখানে যাত্রীবাহী বিশাল এয়ারবাস অবতরণ করতে দেখা একটি বিরল ঘটনা।
অ্যান্টার্কটিকায় যাওয়া প্রথম ফ্লাইট ছিলো ‘লকহিড ভেগা’ নামে একটি মনোপ্লেন। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলীয় সামরিক পাইলট জর্জ হিউবার্ট উইলকিন্স ফ্লাইটটি পরিচালনা করেন। অ্যাটার্কটিকার ভূতত্ত্ব সম্পর্কে গবেষণা করার জন্য তখন এধরনের ছোট ছোট অভিযানমূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হতো।
বিভি/এসডি
মন্তব্য করুন: