• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

টিকা নেওয়ার পরও কেন অনেকে ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন?

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ২১ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ২৩:১০, ২১ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
টিকা নেওয়ার পরও কেন অনেকে ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন?

সংগৃহীত ছবি

করোনা মহামারি থেকে বাঁচতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে টিকাকে। দুই ডোজ টিকার পাশাপাশি বুস্টার ডোজও নিয়েছেন অনেকে। কিন্তু টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পরেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।  

টিকা নেওয়ার পরও এতো সংখ্যক মানুষ কেন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তার কারণ খুঁজতে এক যৌথ গবেষণা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যাসাচুসেট্‌স ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। গবেষণায় উঠে এসেছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। 
 
হিন্দুস্থান টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই গবেষণা করোনা সম্পর্কে মানুষকে আরও সঠিক তথ্য দেবে। এর ফলে আরও সহজে করোনার ওমিক্রন ধরন মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। 

গবেষণায় জানা গেছে, করোনা টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পরেও প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ শক্তি পান না। যারা টিকার কোনো ডোজই নেননি, তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। 

কে ওমিক্রনে আক্রান্ত হবেন তা অনেকক্ষেত্রে নির্ভর করছে ওই ব্যক্তির শরীরের টি-সেলের ওপর। টি-সেল হলো মানুষের কোষের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। কারো শরীরের বিশেষ ধরনের টি-সেল ওমিক্রনকে আটকাতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনকে আটকাতে পারে না কোষ। ফলে কারও ওমিক্রন হয়, কারও হয় না। শরীরের টি-সেল কখন ওমিক্রনকে ঠেকাতে পারবে, তার পুরোটাই পূর্বনির্ধারিত। অর্থাৎ সেটি নির্ভর করছে ওই ব্যক্তির জিনের উপর। কারো কারো জিনের গড়নের মধ্যেই ওই টি-সেলের সূত্র লুকিয়ে আছে, যা ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনকে ভেঙে দিতে পারে।

এছাড়া টিকার মাধ্যমে যে টি-সেল তৈরি হচ্ছে, তা অনেকে ক্ষেত্রেই ওমিক্রনকে ঠেকাতে পারছে না। তাই ওমিক্রন বা করোনার পরের ধরনগুলোর সংগে লড়াই করার জন্য নতুন টিকা বা বুস্টার ডোজ গুরুত্বপূর্ণ। 

তাহলে কি করোনার টিকাতে আসলে কোনো কাজ হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের উত্তরে বিজ্ঞানীরা জানান, টিকা না নিলে করোনার যে কোনো সংক্রমণই মারাত্মক রূপ নিতে পারে। তাই, করোনা ঠেকাতে আপাতত টিকার বিকল্প নেই। পাশাপাশি মাস্ক ও সামাজিক দূরত্বই মানুষকে করোনা থেকে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ রাখবে।   

মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ওমিক্রন রুখতে মাস্ক, টিকা ও বুস্টার ডোজের কোনো বিকল্প নেই।  

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের অ্যারোসল রিসার্চ সেন্টারের নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, বাতাসে ২০ মিনিট ভেসে থাকলেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা ৯০ শতাংশ কমে যায়। গবেষকরা আরও দাবি করেন, বাতাসে প্রথম ৫ মিনিটের মধ্যেই ভাইরাসটি তার বেশিরভাগ সংক্রমণক্ষমতা হারায়।

এই গবেষকরাও বলছেন, করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। 

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের অ্যারোসল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ও গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক জোনাথন রিড বলেন, করোনা সাধারণত বায়ুর মাধ্যমে ছড়ায়। ফলে সংক্রমিত ব্যক্তির কাছে গেলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি হবে। আপনি সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে যতো দূরে সরে যাবেন, ততো নিরাপদ থাকবেন। কারণ, এই সময়ের মধ্যেই করোনা তার সংক্রমণের ক্ষমতা হারায়।

বিভি/এসডি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2