ইউক্রেন থেকে শরণার্থী নিতে পাসপোর্টও দেখবে না জার্মানি

প্রতীকী ছবি
জার্মান সরকার জানিয়েছে, ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরণের জাতীয়তা বিবেচনা বা পার্সপোর্ট যাচাই বাছাই করবে না তারা।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে’র। ফেজার জানান, ‘আমরা জীবন বাঁচাতে চাই৷ জীবন পাসপোর্টের ওপর নির্ভর করে না৷’
ইউক্রেন থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় অশ্বেতাঙ্গ শরণার্থীরা বর্ণবাদী আচরণের শিকার হচ্ছেন বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে৷ জাতিসংঘের প্রতিবেদনেও এমন তথ্য উঠে এসেছে৷ এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বক্তব্য দিলেন৷
ফেজার বলেছেন, ‘যারা পালাচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই ইউক্রেনের নাগরিক৷ অন্য দেশের যেসব নাগরিকের ইউক্রেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি ছিল, তারাও সেই পরিচয় নিয়েই আসবেন৷’
ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের কোনো জটিল আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ ইউক্রেনিয়ানদের নিরাপত্তায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সহযোগিতাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইউক্রেন থেকে দশ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি জমিয়েছে৷ রবিবারসহ মিলিয়ে সেই সংখ্যা ১৫ লাখে পৌঁছাতে পারে৷
পোল্যান্ড ও জার্মানির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৩শ’ মানুষ ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন৷ জার্মানিতে এ সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার৷
এর আগে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর ৩ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের শরণার্থীদের সাময়িক নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিতে একমত হয়৷ একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই ঘোষণা শিক্ষার্থী বা বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়৷ বিদেশি নাগরিকদের অনেকেই এরই মধ্যে নিরাপদে নিজেদের দেশে পৌঁছাতে পেরেছেন৷
বিভি/কেএস
মন্তব্য করুন: