শ্রীলংকায় নতুন সরকার গঠনের চেষ্টা

শ্রীলংকায় গতকালের বিক্ষোভ এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পলায়নের পর বিরোধীদলগুলো একটি নতুন সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করেছে। বিরোধী দলগুলো বলছে, সরকার গঠনের মতো যথেষ্ট সমর্থন পার্লামেন্টে তাদের আছে। খবর: বিবিসি।
সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা বিরুদ্ধে শনিবার লাখো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষুব্ধ জনতা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে হামলা ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন দেওয়ার পর সামরিক বাহিনী রবিবার জনগণকে দেশে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে।
শনিবার সারা দিন ধরে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার মধ্যে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকশা বুধবার পদত্যাগ করবেন এমন ঘোষণা আসে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহেও পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন।
শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বো থেকে বিবিসি সংবাদদাতা আনবারাসান এথিরাজন বিবিসিকে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার জন্য বর্তমান সময়টি অসাধারণ! দিনব্যাপী ক্ষোভ ও সহিংসতার পর দেশটির দুই শীর্ষ নেতা পদত্যাগে রাজি হওয়ার পর খবরটি শ্রীলংকার মানুষের কাছে পৌঁছালে সারা দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। শহরের অনেক জায়গায় পটকা ফোটানো হয়। আমি গ্যালে ফেস নামের প্রতিবাদ স্থলে আছি - অনেক প্রতিবাদকারী বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন, হাজার হাজার মানুষ এখনও উপস্থিত রয়েছে। কেউ কেউ গান গেয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছে, উদযাপন করছে।’
কয়েকদিন আগে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকশা এবং প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের সংসদে হাসিমুখের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছিল। অনেকে এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে, ‘দু'জনকে বেশ খুশি বলে মনে হয়েছে। যেখানে কি-না দেশটির লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন তিন বেলা খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছে।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, পরিকল্পিত বিক্ষোভের আগে নিরাপত্তা সতর্কতা হিসেবে মি. রাজাপাকশা শুক্রবার তার সরকারি বাসভবন খালি করেছেন। যদিও এটি মি. রাজাপাকশার সরকারি বাসভবন, তবে তিনি সাধারণত কাছেই আলাদা আরেকটি বাড়িতে ঘুমাতেন।
প্রেসিডেন্টের অবস্থান এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিভি/এনএ
মন্তব্য করুন: